X
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
৩০ বৈশাখ ১৪৩২

আমন ধানের ক্ষেতে সবুজের হাসি

কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:০০আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩৮

শরতের বাতাসে দোল খাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত রোপা আমন ধানের সবুজ ক্ষেত। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় এই মনোরম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। জেলায় এবারের মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সেই সম্ভাবনা জেগেছে।

ধান চাষিরা উল্লেখ করেন, এ বছর বৃষ্টিপাতের হার বেশি হওয়ায় ক্ষেতে সেচসহ অন্যান্য খরচ তুলনামুলক কম। একইসঙ্গে বৃষ্টির পানির সুবাদে ধানের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। ফলনের পর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী চাষিরা।

কুষ্টিয়ায় ধান ক্ষেত কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউপির চুনিয়াপাড়া গ্রামের ধান চাষি মো. মিকাইল হোসেন এবার ছয় বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ক্ষেতের পাশে জিকে ক্যানেল রয়েছে। এর পানি দিয়ে আমরা ধান চাষ করি। বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। আশা করছি, প্রতি বিঘায় ১৫-১৬ মণ ধান পাবো।’

একই এলাকার ধান চাষি মো. জিন্নাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘এবার সাড়ে ছয় বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। আমি নিজেই ক্ষেতের পরিচর্যা করি। পাশাপাশি কিছু শ্রমিক নেওয়া লাগে। এ বছর আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকায় ধান যথেষ্ট ভালো। আশা করছি, ফলনও ভালো হবে।’

ধান চাষি আব্দুর রহমান মোল্লাহ এবার তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। তিনিও একই আশার কথা শোনালেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের চেহারা বেশ ভালো।’

উপজেলার কেস্টপুর গ্রামের ধান চাষি ইমারুল ইসলাম পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। এবার ভালো লাভের আশা আছে তার। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ধান চাষে আমার বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। আশা করছি, এবার প্রতি বিঘা থেকে ১৫ মণ করে ধান পাবো। এছাড়া বর্তমানে ধানের বিচালির দাম বেশ ভালো।’

কুষ্টিয়ায় ধান ক্ষেত স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন, ‘এবার মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। তাই ধানের তেমন কোনও রোগবালাই নেই। ফলে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে, কুষ্টিয়ায় এবার ৮৮ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এটাকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমাদের আশা, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবে।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কথায়, ‘এবারের আমন মৌসুমে ক্ষেতে তেমন রোগবালাইয়ের প্রভাব দেখছি না। ধানের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কৃষকরা এবার অত্যন্ত লাভবান হবে।’

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কালুরঘাটে হচ্ছে নতুন সেতু, ভিত্তিপ্রস্তরে থাকছে না প্রধান উপদেষ্টার নাম
কালুরঘাটে হচ্ছে নতুন সেতু, ভিত্তিপ্রস্তরে থাকছে না প্রধান উপদেষ্টার নাম
নটর ডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নটর ডেম কলেজের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নৌ পথে ঈদযাত্রা ও পশুবাহী নৌযান নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ: অতিরিক্ত আইজিপি
নৌ পথে ঈদযাত্রা ও পশুবাহী নৌযান নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ: অতিরিক্ত আইজিপি
থাইল্যান্ডে গেছেন মির্জা ফখরুল
থাইল্যান্ডে গেছেন মির্জা ফখরুল
সর্বাধিক পঠিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
পররাষ্ট্র সচিবের অফিসার্স ক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
আসন্ন বাজেটে নতুন কী থাকছে
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
আ.লীগ-ছাত্রলীগের ২৬ নেতার আত্মসমর্পণ
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি
পাকিস্তানে ভারত হামলা করলে সহায়তা করবে বালুচ লিবারেশন আর্মি