নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় পরিচয় গোপন করে ভুয়া নাম ঠিকানা দিয়ে বিয়ে ও ধর্ষণের অপরাধে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম আহমদ আলী (২৭)। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদরা এলাকার দবীর উদ্দীনের ছেলে।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০০৩ সালের ১১ জুন বড়াইগ্রাম এলাকায় ভুক্তভোগীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার বোন জামাই রফিকুল ও ওই আসামি। আসামিকে রফিকুল তার খালাতো ভাই পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। পরের দিন ওই আসামি ভুক্তভোগীকে (১৮) বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি ভেবে দেখার কথা বললেও বোন জামাইয়ের আশ্বাসে কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, বিয়ের কাবিনে আসামি নিজকে পাবনা জেলার বেড়া নাকালিয়া এলাকার লতিফের ছেলে আমজাদ নামে পরিচয় দেয়। ১৩ জুন সকালে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে ওই মেয়েকে নিয়ে আসামি বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার একপর্যায়ে নাটোর গোরস্থানের পাশের বাঁশঝাড়ের ভেতর এক বাড়ি থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করেন। এরপর ১৯ জুন সকালে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পই ঘটনায় ওই দিনই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন মেয়ের বাবা। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ৯(১) ধারায় ওই রায় ঘোষণা করেন।