বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে ‘নৌকার মাঝি’ আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজুর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তবে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্য সঠিক না থাকায় তার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
এ প্রসঙ্গে খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ভোটারের ১ শতাংশের তথ্য দিয়েছিলাম। সেখানে ১০ জনের মধ্যে দুজনের তথ্য গরমিল রয়েছে এ অভিযোগে রিটার্নিং অফিসার আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। আমি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবো।’
বগুড়া রিটার্নিং অফিসার সূত্র জানায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ আসন থেকে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন বড় ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী। রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে মেহেদীসহ সাত জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর অধিকাংশই ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সঠিক নয়।
বগুড়া-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা খান মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী জানান, এ আসনে মহাজোটের এমপি জাপার নুরুল ইসলাম তালুকদার কোনও কাজ করেননি। এবার তার বাবা সিরাজুল ইসলাম খানকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপিকে প্রার্থী করা হলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর যদি তার বাবা শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকেন তাহলে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন।
বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছেলে। গত কয়েক দিন ধরে এটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম খান রাজু জানান, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।