বগুড়ার গাবতলীতে প্রেমে বাধা দেওয়ায় আমিনুর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি স্ত্রী লিপি বেগমের (৪৫) গলায় ফাঁস দেওয়ার পর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আনিস জানান, দাম্পত্য কলহে এসিড নিক্ষেপ করায় গৃহবধূর গলা ও হাত ঝলসে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লিপি বেগম জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আটুল গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। অভিযুক্ত বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে আশা এনজিওতে লোন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তিনি ২/৩ দিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীর লিপি বেগম ও ছেলেকে (১৬) বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তারা শনিবার রাতে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ি গ্রামে আমিনুলের ভাড়া বাসায় ওঠার চেষ্টা করেন। তবে দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজন ভিড় করেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমিনুল রশি দিয়ে স্ত্রীর গলায় ফাঁস দেয়। এ ছাড়া এসিড
জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করলে লিপি হাত দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। এসিড হাত ও গলায় লেগে ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরিবারের একজন জানান, আমিনুল পরকীয়ায় আসক্ত। স্ত্রী এতে বাধা দেওয়ায় তাকে দীর্ঘদিন ধরে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে এসিড মেরে মাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে এনজিও আশার গাবতলীর বাগবাড়ি শাখার ব্যবস্থাপক আবদুস সায়েম
জানান, লিপি বেগম প্রায় এক মাস আগে জেলা ব্যবস্থাপকের কাছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভরণপোষণ না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। গত ১৪ অক্টোবর ব্যবস্থাপক সমস্যার সমাধান করতে লোন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে শনিবার রাতে স্ত্রীর শরীরে এসিড নিক্ষেপের বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
গাবতলী থানার ওসি আশিক ইকবাল জানান, লোকমুখে এনজিওকর্মীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর শরীরে এসিড নিক্ষেপের কথা শুনেছেন। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।