রংপুরের তারাগঞ্জে স্ত্রী কল্পনা রানীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী নৃপেন চন্দ্র ও দেবর লক্ষণ চন্দ্রকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালে তারাগজ্ঞ উপজেলার সয়ার কাজীপাড়া গ্রামের কল্পনা রানীর সঙ্গে একই গ্রামের নৃপেন চন্দ্রের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পণের (যৌতুক) কিছু টাকা বাকি ছিল। পণের বাকি টাকার জন্য নৃপেন চন্দ্র প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধর করতো। বিয়ের মাত্র ১১ মাসের মাথায় ২০০৩ সালের ১৮ ফেরুয়ারি স্বামী নৃপেন ও দেবর লক্ষণ চন্দ্র পণের বাকি ২০ হাজার টাকার জন্য কল্পনা রানীকে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ কল্পনা রানীর লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় কল্পনার দুলাভাই শতীশ চন্দ্র অধিকারী বাদী হয়ে স্বামী নৃপেন চন্দ্র, দেবর লক্ষণ চন্দ্র ও শাশুড়ি সুমিত্রা দেবীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৩ সালের ১৫ মে তারাগঞ্জ থানার এস আই মমতাজ উদ্দিন আদালতে চার্জসিট দাখিল করে।
মামলায় ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক নিহতের স্বামী নৃপেন চন্দ্র ও দেবর লক্ষণ চন্দ্রকে দোষি সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলা চলাকালিন আসামি সুমিত্রা দেবী মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামি লক্ষণ চন্দ্র জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি নৃপেন চন্দ্র আদালতে উপস্থিত ছিল। আদালত লক্ষণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারের পর থেকে রায় কার্যকর হবে বলে জানান।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি আখতারুজ্জামান পলাশ। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফেরদৌস আলম অ্যাডভোকেট। তারা ন্যায় বিচার পাননি উল্লেখ করে এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: যশোরে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ