সাধের লাউ! চৈত্র বৈশাখ মাসে লাউয়ের তরকারি খান না এমন বাঙালির সংখ্যা কম। গ্রামে প্রায় প্রতিটি গেরস্ত বাড়িতে চোখে পড়ে লাউয়ের জাঙলা বা মাঁচা। সেই মাঁচায় ৮টি বা ১০টি লাউ ঝুলে থাকার চিত্রও চিরায়ত। কিন্তু, একটি লাউ গাছের একটি থোকায় যদি ঝোলে ৩৫টি লাউ! এমন বিল ঘটনা দেখা গেছে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেদার গ্রামের সৌভাগ্যবান কৃষক শামসুল হকের বাড়িতে। তার লাউগাছের মাঁচায় এমনটাই ঘটেছে এবার। লাউগাছের একটি গিঁটে ছোটবড় মিলে ৩৫টি লাউ ধরেছে। জাংলায় থোকার মতো ঝুলে আছে লাউগুলো। এই অভূতপূর্ব ঘটনা দেখতে ওই বাড়িতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষের আনাগোনা চলছে।
কৃষক শামসুল হক জানান, তার স্ত্রী জয়নব বেগম নিজে ওই লাউ গাছটির বীজ বপন করছেন। গাছটি বড় হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে ৫০টির মতো লাউ ধরেছে। বড় হওয়ার পর নিজেরা কিছু খেয়েছেন এবং কিছু বিক্রি করেছেন। এ অবস্থায় কয়েকদিন আগে একটি থোকে অসংখ্য ফুল আসে। সেই ফুলগুলো থেকে একে এক অনেকগুলো লাউ বেরিয়ে আসতে থাকে। এখন থোকার মতো করে লাউ ঝুলছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন,‘আমি নিজে ওই লাউগুলো দেখেছি। প্রথম দিকে ৪০টি লাউ ছিল। এখন লাউ আছে ৩৫টি। ৪টি লাউ বড়, এগুলোর ওজন ৫০০-৭০০ গ্রাম হবে এবং ছোটগুলোর ওজন ৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যে হবে বলে আন্দাজ করছি। এখনও ওই থোকের ভেতরে ছোট ছোট লাউ হচ্ছে। কিছু লাউ নষ্ট হয়েছে।'
জাতের বিষয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘কৃষক জাতের নাম বলতে পারেননি, বলেছেন বাড়িতে বীজ ছিল, স্থানীয় জাত। এটা অস্বাভাবিক ফল ধারণ। এটা অনেক সময় আমের ক্ষেত্রে দেখা যায়। তবে লাউয়ের ক্ষেত্রে এমনটা এর আগে আমার নজরে আসেনি।'
এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, অস্বাভাবিক এই ফলনের বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য ছবি তুলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।'