কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নার্সরা। বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নার্সরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের আউটসোর্সিং পরিচ্ছন্নতাকর্মী রিপন নার্সদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে রিপন কয়েকজন লোকসহ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এসে অশালীন ভাষায় কথা বলেন ও তাদের লাঞ্ছিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে তার এমন আচরণ চলতে থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এতে নার্সরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পরে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের আশ্বাসে কর্মবিরতি স্থগিত করেন।
কর্মবিরতিতে নেতৃত্ব দেওয়া শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ কাকলী বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ১২টায় রিপন এসে তিন জন নার্সের কাছে এক শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চান। একপর্যায়ে রিপন গালিগালাজ করেন ও হুমকি দেন। পরে নার্সরা তাদের স্বজনদের ডেকে এনে বাড়িতে যান। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
নার্স সুপারভাইজার শোভা বিশ্বাস ও জুলেখা জানান, এর আগেও রিপন এমন আচরণ করেছেন। মঙ্গলবারের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় সদলবলে নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এর বিচার চান নার্সরা।
তবে রিপন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমি হাসপাতালের স্টাফ, তারাও স্টাফ। আমি বেসরকারি, তারা সরকারি, এতটুকু পার্থক্য। মঙ্গলবার রাতে আমার এক ভাইয়ের ছয় মাসের শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নার্সরা ১৬ টাকার সরকারি ‘বারবিট ইনজেকশন’-এর সাপ্লাই নেই বলে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। বলেছেন, এটি বাইরে থেকে এনেছেন। আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষুব্ধ হন।’
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন ‘বারবিট ইনজেকশন’-এর সরবরাহ নেই।
এদিকে, কর্মবিরতিতে দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা।
এ বিষয়ে জানতে তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকনকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
তবে আবাসিক চিকিৎসক শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের আশ্বাসে নার্সরা কাজে ফিরেছেন। লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।’