কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (২১ জানুয়ারি) ভোররাতে উপজেলার পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরের ভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে দায়ী করছেন তার দুই ছেলে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রূপ কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত গৃহবধূর নাম লতা রানী (৪০)। তিনি কবিরের ভিটা গ্রামের সত্য চন্দ্র শীলের স্ত্রী। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর থেকে চন্দ্র শীল পলাতক রয়েছেন। গৃহবধূর ঘরের বিছানার নিচ থেকে রক্তমাখা কুড়াল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নাগেশ্বরী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রতিবেশী শামসুল হক নিহতের ছেলেদের বরাতে জানান, নিহত লতা রানী তার স্বামীসহ রাতে একই ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ৩ টার দিকে ওই কক্ষ থেকে হঠাৎ অস্বাভাবিক শব্দ শুনে পাশের কক্ষে থাকা তার ছোট ছেলে সাগর (১৭) জেগে ওঠে। সে ঘরে গিয়ে দেখতে পায় তার মায়ের গলাকাটা লাশ বিছানায় পড়ে আছে। পাশে তার বাবা সত্য চন্দ্র শীল দাঁড়িয়ে আছেন। মাকে হত্যা করা নিয়ে বাবা-ছেলের বাগবিতণ্ডায় পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন জেগে ওঠেন। লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় করলে সুযোগ বুঝে সত্য চন্দ্র পালিয়ে যান।
শামসুল হক বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে রাতেই ওই বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি, নিহতের বড় ছেলে সোহাগ (২৫) মাকে হত্যার জন্য তার বাবাকে দোষারোপ করছেন। তবে তার বাবা দায় স্বীকার করছিল না। পরে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
ওসি রূপ কুমার সরকার বলেন, ‘গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’