‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে নদী রক্ষা আন্দোলনের ডাকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আমি চাই। আর অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেন। আমি ভারত সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব চান, তবে আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন। লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না। আমরা লড়াই করে তিস্তার পানি আনবো।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাটে তিস্তার পাড়ে দুদিনব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় নির্বাচন দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিকে একত্রিত করছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জয় পেয়েছি। একটা গণতান্ত্রিক পথের জন্য লড়াই করছেন।’
উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কতবার ভোট দিতে পারেন নাই। আমরা ভোট দিতে চাই। ভোট দিয়ে নেতৃত্ব চাই। ওরা বলে, আমরা শুধু ভোট ভোট করি। ভোট ভোট করার কারণ হচ্ছে একটাই, সেটা হলো আমরা জনপ্রতিনিধি চাই। দেশে যে অশান্তি চলছে, নির্বাচিত সরকার এলে তা থাকবে না। দেশে শান্তি আসবে। একটা নতুন লড়াই শুরু হয়েছে, সেটা বাঁচা-মরার লড়াই।’
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্র বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সমন্বয়ে নদী রক্ষা আন্দোলন ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদীর ১৩টি পয়েন্টে টানা ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন হচ্ছে।
লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীসহ উত্তরের ১১টি স্থানে একযোগে দুদিনব্যাপী চলবে ভিন্নধর্মী এ প্রতিবাদ। তিস্তাপাড়ের ২৪২ কিলোমিটার অববাহিকায় অনুষ্ঠিত হবে পদযাত্রা। থাকছে লোকজ গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন। ব্যানার প্ল্যাকার্ডে তিস্তা বাঁচানোর দাবি। নদীর মাঝখানে বসানো হয়েছে রঙবেরঙের তাঁবু। প্রতিবাদে এ এক ভিন্নতা।