X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
২০ বৈশাখ ১৪৩২

উত্তরাঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ

নীলফামারী প্রতিনিধি
০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫০

২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজসহ নতুন চারটি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকার। তবে নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ ৩০ আগস্ট পূর্ণাঙ্গভাবে অনুমোদন পায়। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর খুলনা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম শাহকে কলেজটিতে অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

এরপর ১৫ অক্টোবর ১ম ব্যাচের ভর্তি শুরু হয়। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৪৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী ডায়াবেটিকস হাসপাতালের নতুন ভবনে কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এখন উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আধুনিক মানের মেডিক্যাল কলেজটি।

ডায়াবেটিকস হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজটি জেলা শহরের নটখানা নামকস্থানে ম্যাটসের একটি ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস হলেও সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ব্যবহারিক ল্যাব, সেমিনার কক্ষ, শৌচাগার, অধ্যক্ষের বাসভবন, ছাত্র-ছাত্রী নিবাস, স্টাফ ডরমমিটরিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে।

কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘৫টি ব্যাচের আমরা সবাই ক্যাম্পাসের ভেতর হোস্টেলে অবস্থান করছি। আমাদের পর্যাপ্ত শিক্ষক আছে, ল্যাব আছে, অধ্যক্ষের বাসভবন আছে, ডরমিটরি আছে। কোনটারও কমতি নেই।’

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক জিম্মা হোসেন বলেন, ‘ডায়াবেটিকস হাসপাতালের ভবন থেকে এখন মেডিকেল কলেজটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে জেলা শহরের নটখানা ম্যাটসের নবনির্মিত ক্যাম্পাসে। এটিকে আমাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর পাশেই আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ৩৫ একর নিজস্ব জায়গা আছে। সেখানে ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই কার্যক্রম চালাতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭৮টি শিক্ষকের পদে কর্মরত আছেন ৫৬ জন। আমাদের শিক্ষকের স্বল্পতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা নেই। এখন আমাদের একটি পরিবহনের বাসের দরকার। আমাদের মেডিক্যাল কলেজটি দেশের অন্য যেকোনও প্রতিষ্ঠানের তুলনায় সুন্দর ও মনোরম। এখানে শিক্ষার্থীদের শেখার ব্যাপারে কোনও সমস্যা হচ্ছে না।’

প্রসঙ্গত, কলেজে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীসংখ্যা ৪৮ জন, দ্বিতীয় ব্যাচে ৪৮ জন, তৃতীয় ব্যাচে ৪১ জন, চতুর্থ ব্যাচে ৪১ জন, পঞ্চম ব্যাচে ৩৫ জন ও ষষ্ঠ ব্যাচে ৭৫ জনের মধ্যে ছাত্র ২৫ এবং ছাত্রী ৫০ জন। প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখন ইন্টার্নশিপ করছেন। কিছুদিন পর তারা ডাক্তার হয়ে বের হবেন।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন: শিক্ষা উপদেষ্টা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সোশ্যাল থিংকিং রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান তামিজী, সেক্রেটারি হামিদা
সর্বশেষ খবর
মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
খিলগাঁওয়ে ভবন থেকে পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে ভবন থেকে পড়ে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
কিংস ও বিকেএসপির খেলোয়াড় ছাড়া ভারতের সাফে যাচ্ছে বাংলাদেশ! 
কিংস ও বিকেএসপির খেলোয়াড় ছাড়া ভারতের সাফে যাচ্ছে বাংলাদেশ! 
ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ রাবাদা
ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ রাবাদা
সর্বাধিক পঠিত
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
শুকনো মরিচের দাম কেজিতে কমলো ১০০ টাকা
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
৩০০ ফিট দিয়ে রামপুরা করিডোর চালুর পরিকল্পনা ডিএনসিসির
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতি ঘৃণা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
‘সাময়িক’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার