দক্ষিণ আফ্রিকা ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা গত মাসে আইপিএলের শুরুতেই দেশে ফিরে যান। শুরুতে বলা হয়েছিল ব্যক্তিগত কারণে তিনি দেশে ফিরেছেন। তবে আইপিএলে তার ফেরার দিনক্ষণ জানায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার নিজেই কারণটা জানিয়ে দিলেন প্রোটিয়া পেসার। ড্রাগ টেস্টে ব্যর্থ হয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাবাদা।
বিশ্ব টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বরে থাকা রাবাদা আর বেশি কিছু বলেননি। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তাকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অপরাধ স্বীকার করে এই পেসারের বিবৃতি, ‘আমি সম্প্রতি ব্যক্তিগত কারণে আইপিএল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে আসি। একটি বিনোদনমূলক ড্রাগ ব্যবহারের জন্য আমার টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসার কারণে আমি চলে এসেছি।’
এক বিবৃতিতে রাবাদা বলেন, ‘যাদেরকে আমি হতাশ করেছি, তাদের কাছে আমি গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ক্রিকেট আমার জন্য বিরাট একটা সম্মান, একে আমি কখনোই হালকাভাবে নেবো না। এটি আমার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার বাইরেও।’
আইপিএল কিংবা আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে সামনের দিকে তাকিয়ে রাবাদা, ‘এই কাজ আমাকে সংজ্ঞায়িত করবে না। আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করবো এবং আমার প্রিয় খেলায় ফিরবো।’
চলতি আইপিএলে গুজরাটের প্রথম দুই ম্যাচ খেলেন রাবাদা, নেন দুটি উইকেট। আগামী মাসে লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু ড্রাগ টেস্টের ব্যর্থতা তাকে সম্ভবত ফাইনালের বাইরে রাখছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ টি-টোয়ন্টি চলাকালে একটি রিক্রিয়েশনাল (বিনোদনমূলক) ড্রাগ নেন রাবাদা। গত জানুয়ারিতে এসএ টোয়েন্টিতে এমআই কেপ টাউনের হয়ে খেলার সময় ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন তিনি।
তারা আরও জানিয়েছে, এটি কোনও পারফরম্যান্স বর্ধক ড্রাগ ছিল না। এই ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে রাবাদা এক বিবৃতি দেন।