সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নে বিস্ফোরণে দুই শিশুর চোখ ঝলসে গেছে। এই ঘটনায় আরও এক শিশু আহত হয়। সোমবার (২৩ মে) দুপুরে ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে আহতরা হলেন কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে সাইদা বেগম (৯), সাইমা বেগম(৭) ও গৌছ আলীর মেয়ে নুহা ওরফে রূপা বেগম(৭)।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত তিন শিশুর চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ফারুক মিয়ার ভাই কর্নাল মিয়ার ছেলে আরিফ আহমদ বসতঘর থেকে গোলাকার একটি বস্তু এনে সুরমা নদীর পাড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় তার পাশে থাকা সাইদা বেগম, সাইমা বেগম ও নুহা বেগম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই তিন শিশু চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে সাইদা ও সাইমার অবস্থা গুরুতর।
আহত সাইদা ও সাইমার বাবা আব্দুল আজিজ বলেন, কর্নালের ছেলে আরিফ ঘর থেকে বোমার মতো একটি জিনিস এনে ফোটায়। বিস্ফোরণে আমার দুই মেয়েসহ তিন শিশু আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে ফারুক মিয়ার দ্বন্দ্ব ছিল। এই কারণে তারা বাড়িতে বোমা তৈরি করতে পারে। রবিবার দিবাগত রাতেও কর্নালের বাড়িতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
তবে কর্নাল মিয়া তার ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে শুনেছি বোতলে চুন ভর্তি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও তদন্তের পর বোঝা যাবে সেটি কিসের বিস্ফোরণ ছিল।