সিলেট এমসি কলেজে সিনিয়র-জুনিয়র বাগবিতণ্ডার জেরে ছাত্রাবাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কলেজের শ্রীকান্ত ব্লক ছাত্রাবাসের ৭ ও ৮ নম্বর কক্ষের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়।
হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্য বলেন, ‘কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় হোস্টেল সুপারদের নিয়ে আজ রাতে বৈঠক হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মী শেখ রাসেলের সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী কলেজ ছাত্রাবাসের শ্রীকান্ত ব্লকের আবাসিক ছাত্র। অপরদিকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শেখ রাসেলকে বহিরাগত দাবি করছেন ওই ব্লকের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
সোমবারের বিরোধের জেরে মঙ্গলবার বিকালে শেখ রাসেলসহ প্রায় ৩০-৩৫ জনের একটি দল ছাত্রাবাসে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ডাকাডাকি করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে মারধরের চেষ্টা করলে ব্লকের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শ্রীকান্ত ব্লক ছাত্রাবাসের দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়।
আবাসিক শিক্ষার্থী টেলেন্ট কান্তি দাস বলেন, ‘আমাদের জুনিয়র এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে নিয়ে গিয়ে মারধরের চেষ্টা করা হয়েছে। তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। আমরা ব্লকের শিক্ষার্থী হিসেবে তাকে ‘সেভ’ করার চেষ্টা করেছি। এ সময় হলের দরজা-জানালা ধারালো অস্ত্র এবং ইট দিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেন, ‘জুনিয়র-সিনিয়র নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জেরে শুনেছি ছাত্রাবাসের একটি ব্লকে দরজা-জানালা ভাঙচুর হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে নতুন করে কোনও ঝামেলা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’