সিলেট নগরীর মিরাবাজারের বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ পাম্পের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নজরুল ইসলাম মুহিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ জনে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নজরুল ইসলাম মুহিন সিলেট নগরীর পশ্চিম পীরমহল্লার ঐক্যাতন ২১৫/৩ মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে।
ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটন জানান, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় আন্তরিকতার কোনও ঘাটতি ছিল না। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে তাদের চিকিৎসার চেষ্টা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাম্পের ব্যবস্থাপক মুহিন মারা গেছেন। তার লাশ সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে।
জানা গেছে, অগ্নিদগ্ধ ৯ জনকে গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠালে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও পরদিন বিকালে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর পৃথক সময়ে সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাঁও গ্রামের বাদল দাস (৪০) নামে দুজন মারা যান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কম্প্রেসার কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ সাত জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং বাকি দুই জন পথচারী ছিলেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ ৯ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।