সিলেটের জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন ও বিয়ানীবাজারের শেওলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশে মঙ্গলবারও কোনও পণ্যবাহী ট্রাক ঢোকেনি। ভারতের শ্রীভূমিতে (করিমগঞ্জ) সনাতনী ঐক্য মঞ্চ নামের একটি সংগঠন তিন দিন ধরে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে। এই সংগঠনের বাধার মুখেই এই দুই সীমান্ত এলাকায় থাকা শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনও পণ্য বাংলাদেশে আসতে পারছে না।
ভারতের আন্দোলনকারী সংগঠনটির দাবি, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনায় ওই ক্ষোভ-বিক্ষোভের জন্ম হয়। এটাকে সংখ্যালঘু নির্যাতন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ জানাতেই স্থলসীমান্ত দিয়ে পণ্য ঢুকতে-যেতে আপত্তি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আমদানি করেন। এখান দিয়ে পণ্য রফতানি হয় না। তবে বিয়ানীবাজারের শেওলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রফতানি দুটিই হয়। আজ উভয় সীমান্তে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল।
জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘এই স্টেশন দিয়ে ব্যবসায়ীরা মূলত বাংলাদেশে কমলা আমদানি করেন। তবে এটাও নিয়মিত নয়। আজ আমদানির কোনও পণ্য আসেনি।’
শেওলা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মঙ্গলবার শেওলা শুল্ক স্টেশন দিয়ে কোনও পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি।
এর আগে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিয়ানীবাজারের শেওলা শুল্ক স্টেশনের ওপারে ভারতের সুতারকান্দি স্থল সীমান্ত দিয়ে উগ্র প্রতিবাদকারীরা গত রবিবার ‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালান। তবে সেখানকার পুলিশ ও বিএসএফের বাধায় সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করে ওই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
একই ধারাবাহিকতায় সোমবার জকিগঞ্জের ওপারে শ্রীভূমি (করিমগঞ্জ) শুল্ক স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ করে বাংলাদেশে পণ্য ঢুকতে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে না কোনও পণ্য।