X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকা লিট ফেস্টে একান্ত আলাপ

মনে রাখতে হবে পথটি খুব কঠিন: কানিষ্কা গুপ্তা

শেরিফ আল সায়ার
০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:১১আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৮

লেখক বই লেখেন। আর সেটি পাঠকের কাছে পৌঁছায় কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে। সাধারণত প্রকাশক ও লেখকের যোগাযোগের ভিত্তিতেই মূল কাজটি হয়। কিন্তু লেখকের পাণ্ডুলিপি মূল্যায়ন করে প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ ও বিশ্বব্যাপী একটি বই ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এজেন্টরা। তেমন একজন এজেন্ট হলেন কানিষ্কা গুপ্তা। বিশেষ করে ভারতের সাহিত্য জগতে ইংরেজি ভাষায় যারা লিখছেন তাদের কাছে কানিষ্কা বেশ পরিচিত। ধীরে ধীরে তিনি এশিয়ার অন্যতম এজেন্ট হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরস্কারজয়ী গীতাঞ্জলি শ্রী’র ‘টুম্ব অব স্যান্ড’ গ্রন্থের এজেন্ট হলেন তিনি।
 
১০ম ঢাকা লিট ফেস্টের দুটি সেশনে সরাসরি বক্তা হিসেবে যুক্ত রয়েছেন বৈশ্বিক বই বিপণন ও প্রকাশের এই অন্যতম এই উদ্যোক্তা। উৎসবের ফাঁকে তার সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউন-এর।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘রাইটার্স সাইড’ উদ্যোগটি নিয়ে। ২০১০ সালে একজন পাণ্ডুলিপি মূল্যায়নকারী হিসেবে শুরু করেন আপনি। জানতে চাই আসলে কোন বিষয়গুলো এজেন্ট হওয়ার পথে আপনাকে নিয়ে গেছে।

কানিষ্কা গুপ্তা: যখন নিজে লেখালেখি করতাম তখন তো অন্য কিছু করার সুযোগ বা ভাবনা ছিলো না। তখন নিজের পাণ্ডুলিপি প্রকাশের যে সংগ্রাম আমাকে করতে হয়েছে, সেটা বড় গল্প। ঘটনাটা সম্ভবত ২০০২ বা ২০০৩ সালের। তখন ভারতে সাহিত্যিকদের জন্য খুব বেশি এজেন্সিও ছিল না।

ওই সময়টায় খুব কম ‘সাহিত্য উৎসব’ আয়োজন হতো। যেসব উৎসবে সম্পাদক কিংবা প্রকাশকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ হয়, নিজের পাণ্ডুলিপি থেকে কিছু তুলে ধরার কিংবা উৎসব আয়োজকদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় পাণ্ডুলিপি দেওয়ারও সুযোগ পাওয়া যায়। সে সব উৎসবের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা লেখকরা প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেতেন। কিন্তু অল্প সংখ্যক সাহিত্য উৎসব হওয়ার কারণে এমন সুযোগ সব স্তরের লেখকরা তেমন পেতো না।

তাছাড়া তখন প্রকাশনা নিয়ে জানাশোনাও ছিল খুব কম। কীভাবে প্রকাশনার বিষয়গুলো কাজ করে বা প্রকাশকের কাছে পাঠানোর আগে লেখকের মাথায় কোন কোন বিষয়গুলো রাখা উচিত–  আমার এই বিষয়ে কোনও ধারণাই ছিল না। তবে তখন কয়েকটি ভালো ভালো সংস্থা ছিল। যেমন, পেঙ্গুইন, ইন্ডিয়া’র মতো আরও দুই-তিনটি প্রকাশনা সংস্থা। ফলে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল একেবারে কম। তাদের কাছে পৌঁছানোর বিষয়টিও ছিল কঠিন। 

তাই তখন আমার মনে হয়েছে এখানে বড় একটা শূন্যতা আছে, এটি পূরণ করা প্রয়োজন। এরপর প্রকাশনা জগতের কয়েকজনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। এদের অনেকেই বেশ জ্যেষ্ঠ। তাদের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উৎসাহ পাই।

উদ্যোগ নেওয়া হয় খুব ছোট আকারে, বলতে পারেন অগোছালোভাবে। সে সময় মাত্র কয়েকজন সম্পাদক ও লেখকের সঙ্গে কথা বলি। তারা বলেন, আমাদের হয়ে ফ্রিল্যান্স হিসেবে কাজ করবেন।

বাংলা ট্রিবিউন: এরপর এটাকে পূর্ণ এজেন্সি বা বিস্তৃত পরিসরে কেন এগোলেন?

কানিষ্কা গুপ্তা: এজেন্সি মডেলে যাওয়ার কারণ হলো বইয়ের মান খুব খারাপ ছিল। যার কারণে নিবিড় সম্পাদনার পরও লেখকদের বইয়ের কনটেন্টের উন্নয়নে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারছিলাম না। বইয়ের জন্য ভালো কোনও চুক্তি পাওয়ার সুযোগও তেমন একটা বাড়েনি।

আমি কাজ করতে চেয়েছি, আবিষ্কার করতে চেয়েছি প্রকৃত মেধা। প্রায় কাছাকাছি সময়ে প্রাচ্যের একজন বড় লেখকের পাণ্ডুলিপি পেয়ে যাই। যিনি প্রাচ্যের একজন বড় লেখক। তিনি কয়েকটি পুরস্কারও পেয়েছেন। আমি কাজটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এভাবেই একের পর এক পাণ্ডুলিপি পেতে থাকি। আমি প্রকাশনার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়াই একেবারে শূন্য থেকে তা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
 
কানিষ্কা গুপ্তা বাংলা ট্রিবিউন: বেশিরভাগ লেখকদের সঙ্গে প্রকাশকদের তো সরাসরি যোগাযোগ থাকে। যেমনটা বাংলাদেশে দেখা যায়। ফলে আপনার এই কাজে সফল হওয়া তো ছিল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। আপনি কি ভেবেছিলেন যে এই নতুন যাত্রায় সফল হবেন?

কানিষ্কা গুপ্তা: আমরা এই পরিস্থিতি বদলে দিয়েছি। এই পরিবর্তনে আমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি বলে মনে হয়। এর দুটি দিক ছিল। একটি দিক হলো– লেখকদের সঙ্গে একজন এজেন্টের চুক্তি করা। দ্বিতীয়ত– এজেন্টের সঙ্গে লেখকদের সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়া। কারণ আপনি যদি কারও জন্য ভালো একজন প্রকাশক খুঁজে পান এবং ওই প্রকাশকের সঙ্গে লেখকের ভালো অভিজ্ঞতা হয় এবং যদি পরের বইয়ের জন্য আরও বড় কিছুর প্রতিশ্রুতি হাজির করতে না পারেন, তাহলে সেই লেখক কেন আপনার এজেন্সির সঙ্গে কাজ করবে? কারণ আপনি তাদের আয়ে ভূমিকা রাখছেন। লেখকের আয় থেকে এজেন্ট শেয়ার পান। রয়্যালটির একটি অংশও আপনি পাবেন।
 
তাই আমার কাছে চ্যালেঞ্জ হলো ফিকশন এবং নন ফিকশন যেসব লেখকের প্রচুর বই বিক্রি হয়, তারা যেন বড় অংকের অগ্রিম টাকা পান। এজেন্সি হিসেবে যদি তা না করতে পারি এবং মূল্য সংযোজন করতে না পারি তাহলে বাইরে থেকে পাণ্ডুলিপি দেওয়া আর বিয়ের চুক্তি করা সমান অর্থই দাঁড়াবে।

এজেন্সি মানে আপনাকে সাহিত্য ম্যানেজার হয়ে উঠতে হবে। সাহিত্যিকরা যেন বিভিন্ন উৎসবে আমন্ত্রণ পান– তা নিশ্চিত করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে তাদের বই যেন সবগুলো পুরস্কারের তালিকায় থাকে। তার মানে শুধু বই বিক্রি বা পরিবেশনার কথা ভাবলে আপনাকে চলবে না। ভারতে অডিওবুকের বড় পাঠক রয়েছে। গল্প বলারও বাজার রয়েছে। ফলে লেখকের আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায় বের করতে হবে। কাজটি খুব সহজ নয়। এটি নিজের মক্কেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। আর প্রকাশক যদি সরাসরি লেখকের কাছে চলে যায় তাহলে তা বাণিজ্যচক্রের জন্য শুভলক্ষণ নয়। কেউ যদি বড় লেখক হয়ে ওঠেন, বিদেশি সংস্থার পক্ষ থেকে যোগাযোগ পেয়ে যান। তখন লেখক হারাতে পারেন এজেন্ট।

বাংলা ট্রিবিউন: ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বুকারজয়ী বই ‘টুম্ব অব স্যান্ড’ প্রকাশের গল্পটা কি আমাদের বলতে পারেন? যা ডেইজি রকওয়েল অনুবাদ করেছিলেন। কীভাবে আপনি পাণ্ডুলিপিটি নিয়েছিলেন এবং কাজটি করতে গিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন।

কানিষ্কা গুপ্তা: ২০১৮ সালে ডেইজির সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তখন তার প্রতিনিধিত্ব করতেন একজন মার্কিন এজেন্ট। আমরা দিল্লিতে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত নেই। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেই ‘কৃষ্ণ সবতি’ বইটি নিয়ে কাজ করার। এটি ছিল ডেইজির সঙ্গে আমার প্রথম বই। আমি ভারতের হামিশ হ্যামিল্টন প্রকাশনা সংস্থার কাছে বইটি নিয়ে যাই। সেই অভিজ্ঞতায় খুব খুশি ছিলেন ডেইজি। এরপর থেকে আমরা বেশ কয়েকটি বইয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি। পেঙ্গুইন প্রকাশনীর ছিল চারটি বই, পিকিং টাইগারে দুটি বই এবং হারপার কলিন্সে একটি বই। এখন বিশ্বব্যাপী ডেইজির প্রতিনিধি আমি। 

তো অরুণাভ সিনহা আমাকে দেবোরাহ স্মিথের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি হলেন অলাভজনক প্রকাশনী সংস্থা টিলটেড এক্সিস-এর প্রতিষ্ঠাতা। পরে ডেইজি একটি নমুনা হাতে পান। দেবোরাহ ছিলেন খুব খুশি। এভাবে বইটি তৈরি হয়। বুকার পুরস্কার অর্জনের এক মাস আগে ২০২১ সালে এটি যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত হয়।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনি ইতোমধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি লেখকের সঙ্গেও কাজ করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?

কানিষ্কা গুপ্তা: হ্যাঁ, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি লেখকের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। গুরুত্বপূর্ণ যে বইটি আমি করেছি সেটি হলো নুমাইর আতিফ চৌধুরীর ‘বাবু বাংলাদেশ’। দুর্ভাগ্যবশত, বইটি প্রকাশের চুক্তি হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। বুঝতেই পারছেন, তার মৃত্যুর আগে কোনও প্রকাশক পাওয়া যায়নি। সৌভাগ্য যে, তিনি দিল্লি ভ্রমণের সময় আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাতে আমি লুবনা চৌধুরীর খুব কাছাকাছি আসতে পারি। ওই সফরে তিনি তার ভবিষ্যৎ প্রকাশক হারপার কলিন্সের সম্পাদকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তারা এমন বইয়ের প্রতি সব সময় আগ্রহী ছিলেন। 

এই বইটি আমার পছন্দের। আশা করি বইটি বাংলাদেশ ও বাইরে আরও মনোযোগ পাবে। বাংলাদেশি বইটির যুক্তরাজ্য সংস্করণ আগামী বছর আসতে পারে। আমি বলবো বইটি প্রকাশ বৃথা যায়নি। আমাকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে অনেক কোর্সে এটি অধ্যয়ন হয় এবং অনেক গবেষক তাদের রেফারেন্স হিসেবে বইটি উল্লেখ করছেন। কিন্তু বিক্রি ও অন্যান্য কিছুর নিরিখে আমার মনে হয় এটি আরও মনোযোগ পাওয়া দরকার। লেখক জীবিত থাকলে অনেক কিছু অন্যরকম হতো।

নাদীম জামানের সঙ্গেও কাজ করেছি আমি। নুমাইরের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন নাদীম। কারণ নুমাইরের সঙ্গে কাজের আগেই নাদীমের সঙ্গে আমি চুক্তিবদ্ধ হই। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ নিয়ে নাদীম একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি একটি নতুন বই নিয়ে কাজ করছিলেন। বইটির নাম ছিল ‘দ্য ইনহেরিটর’। এটি ছিল দারুণ উপন্যাস। বইটি আশা রাখছি এপ্রিলে ভারতে প্রকাশ হবে।

দারুণ বিষয় হলো, আমি ২০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি লেখকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তিনি খুব মেধাবী। তার নাম হলো শাহ তাজিয়ান আশরাফি। জানুয়ারি বা হয়তো ফেব্রুয়ারির শুরুতে তার বইটি আসবে।

কানিষ্কা গুপ্তা বাংলা ট্রিবিউন: এবার ঢাকা লিট ফেস্টের দশম আসর। এর আগেও আপনি এসেছিলেন। এ উৎসব নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে চাই।

কানিষ্কা গুপ্তা: ঢাকা লিট ফেস্ট খুব গোছালো একটি উৎসব। যে জায়গায় আয়োজন করা হয়, সেটি আমার খুব পছন্দ। সবগুলো সেশন দারুণ, সঞ্চালনাও ভালো এবং খুব আগ্রহোদ্দীপক পরিবেশ। উৎসবের পরিচালক আহসান আকবার, সাদাফ সায্ ও কাজী আনিস আহমেদ- তিনজনই লেখক। ফলে তারা যখন সাহিত্য নিয়ে কোনও আয়োজনে যুক্ত থাকেন, তার প্রতিফলন ঘটে উৎসবজুড়ে। তাদের যোগাযোগ কত বিস্তৃত তাও জানা যায়। 

তারা অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে আসতে পেরেছেন। এবার আবদুলরাজাক গুরনাহ এসেছেন। দুইজন সদ্য বুকারজয়ী লেখকও এসেছেন। এই উৎসব পরিচালকদের আমার খুব সাহসী মনে হয়।

বাংলা ট্রিবিউন: কেউ আপনার পথ ধরে সাহিত্য বা বই প্রকাশনার এজেন্ট হতে চাইলে তাকে আপনি কী পরামর্শ দেবেন?

কানিষ্কা গুপ্তা: দক্ষিণ এশিয়ায় এজেন্ট হওয়া খুব কঠিন। আমি অপ্রচলিত পদ্ধতির মাধ্যমে এজেন্ট হয়েছি। আমার পরামর্শ থাকবে প্রকাশনার ওপর কোনও কোর্স করতে পারেন। কেউ চাইলে ভারতের সিগাল স্কুল অব পাবলিশিংয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশনার ওপর স্বল্পমেয়াদী কোর্স রয়েছে সেগুলোও করতে পারেন। বড় কোনও প্রকাশনা সংস্থায় ইন্টার্ন বা সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করতে পারা সব সময় ভালো। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ এজেন্ট আগে প্রকাশক ছিলেন। যেমন, বিখ্যাত ব্রিটিশ এজেন্ট ড্যাভিড গডউইন। তিনি অরুন্ধতী রায়সহ কয়েকজন বুকারজয়ী লেখকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। 

কিছু কারিগরি দক্ষতা থাকা ভালো। যেমন সম্পাদনা, বই তৈরি এবং চুক্তি সম্পর্কে ধারণা থাকা ভালো। সিগাল স্কুল সব সময় ভারত ও অন্যান্য দেশের প্রকাশনায় জড়িত পেশাদারদের আমন্ত্রণ জানায়। অতিথি ফ্যাকাল্টি হিসেবে আপনি পেঙ্গুইন, হারপার ইউনিভার্সিটি প্রেসসহ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে কথোপকথনের সুযোগ পাবেন। ফলে প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে হবে। অবশ্যই, বাস্তব অভিজ্ঞতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একজন এজেন্ট হিসেবে বই প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সবগুলো কাজ শিখতে হয়েছে আমাকে।
 
এজেন্ট হওয়ার পরও আমি অনেক কিছুই এই বিষয়ে জানতাম না। ভুল করেছি, তারপর ধীরে ধীরে শিখেছি। এছাড়া অনেকেই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি প্রতিনিয়ত শিখেছি, শিখছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে পথটি খুব কঠিন। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়, ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ায় সব ধরনের লেখকদের প্রতিনিধিত্ব করার মানসিকতা থাকতে হবে, নির্দিষ্ট ধাঁচের বই বাছাই করার পথে যাওয়া যাবে না।

তবে অবশ্যই বইয়ের মান যাচাই করতে হবে। শুধু এজেন্ট হওয়ার কারণে অথবা পাঠক হিসেবে ফিকশন সাহিত্য পছন্দ করার অর্থ এই নয় যে, আপনি খুব ভালোভাবে বিবেচনা করছেন। ভালো শিশু সাহিত্য, এমনকি বিজ্ঞাপনও বিবেচনায় বাদ দেওয়া উচিত না। তবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আপনি বিশেষজ্ঞ হওয়ার বিলাসিতা দেখাতে পারেন, কারণ সেখানে সুবিধা অনেক বেশি।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কানিষ্কা গুপ্তা: আপনাকেও ধন্যবাদ।

শ্রুতিলিখন: আজমল হোসেন
অনুবাদ: আরশাদ আলী

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

/এমএম/
সম্পর্কিত
বলে নজর রাখো: গর্ডন গ্রিনিজ
সাক্ষাৎকারআগের চেয়ে মহামারির আশঙ্কা বেড়েছে: সারাহ গিলবার্ট
সাক্ষাৎকারলেখালেখির আনন্দ হলো ভাষার নানা সম্ভাবনা: আবদুলরাজাক গুরনাহ
সর্বশেষ খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ধানমন্ডিতে ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মী আহত 
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সকার স্কুলের বাছাইয়ে ৩ বাংলাদেশি কিশোর
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে