X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
মহারাজার জন্মদিনে স্মরণ

প্রিয় সত্যজিৎ, জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রসূন রহমান, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
০২ মে ২০২২, ১৪:৩৮আপডেট : ০২ মে ২০২২, ১৭:০২

গত ২ বছর ধরে অনেক উপলক্ষ আমরা পেরিয়ে গেছি, যার সবক’টি অতিমারির দোর্দণ্ড প্রতাপের কারণে যথাযথভাবে উদযাপন সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণজয়ন্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ এবং কিংবদন্তি বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো সত্যজিৎ রায়ও বিবিসির জরিপে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের মাঝে শীর্ষস্থানীয় একজন। তিনিই একমাত্র চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি সারা পৃথিবীর কাছ থেকে বাংলা চলচ্চিত্রের জন্যে সমীহ আদায় করেছেন। আজ যে আমরা এই সময়ে এসে আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা উৎসবে অংশগ্রহণ করছি, তারও শুরু এই মহারথীর হাত ধরেই।
  
আমার মতো আরও অনেকের জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসার শুরু, চলচ্চিত্রকে বিনোদনের ওপরে গিয়ে শিল্প হিসেবে দেখার শুরু তার হাত ধরেই। 

এই বিষয়ে একই সময়ের ছোট দুটি গল্প ও স্মৃতির পুনঃপাঠ করছি। সময়টা ২০০৭-এর আগস্ট। প্রয়াত নির্মাতা তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’র কলকাতায় মুক্তি উপলক্ষে সেখানে যাওয়া। তার নির্মীয়মাণ ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের সহযোগী হিসেবে তারেক ভাই ও ক্যাথরিনের তৎকালীন সফরসঙ্গী আমি। উদ্দেশ্য ‘মাটির ময়না’র মুক্তির সময়ে সেখানে উপস্থিত থাকা এবং ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের লোকেশন নির্ধারণ এবং শিল্পী নির্বাচনের কাজ করা। সে যাত্রায় আমরা ৩ জন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের গেস্ট হাউজে ছিলাম প্রায় ১৮ দিন। সেখানে যাওয়ার পরদিনই ছিল প্রেস কনফারেন্স। নিউ মার্কেটের কাছাকাছি একটি ৪ তারকা হোটেলের সেমিনার রুমে ছিল সে প্রেস কনফারেন্স। প্রধান অতিথি ছিলেন মৃণাল সেন। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা গৌতম ঘোষ, ‘মাটির ময়না’র সংগীত পরিচালক মৌসুমী ভৌমিক, শিল্পী অঞ্জন দত্ত প্রমুখ। ছিলেন ‘মাটির ময়না’র ভারতীয় পরিবেশক এবং সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক বীরেন দাশ শর্মা। আর ছিলেন ভারতে অবস্থানরত কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত ফিল্মস্কলার ও সত্যজিৎ গবেষক ফাদার গাস্তন রর্বেজ। সে অনুষ্ঠানে ক্যাথরিন এবং আমার পাশে প্রথম সারিতেই বসেছিলেন ফাদার গাস্তন রর্বেজ। আমার হাতে ছিল একটা ডিএসএলআর। ক্যামেরা চালনায় আমি সিদ্ধহস্ত না হলেও আলগোছে কিছু স্থিরচিত্র তুলে রাখবার চেষ্টা করছিলাম। মঞ্চ থেকে তারেক ভাই আমাকে ইশারা করছিলেন, মৃণাল সেনের সাথে আলাদা কিছু ছবি তুলে রাখবার জন্যে। সেটা সম্ভব হয়েছিল বলে মনে হয় না। কারণ, পরদিন কলকাতার সব পত্রিকায় যে ছবিগুলো ছাপা হয়েছিল, সেসবের বাইরে আমাদের সংগ্রহে আর তেমন কোনও ছবি নেই। তবে সে রাতে পার্ক স্ট্রিটের একটা রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে করতে তারেক ভাই জানতে চাইছিলেন, অনুষ্ঠানে আসা এত মানুষ মৃণাল সেনের সাথে ছবি তোলার জন্যে অস্থির ছিল, তুমি কেন নিজের একটা ছবি তুলতে চাইলে না। বলেছিলাম, কেন জানি ইচ্ছে করেনি। তারেক ভাই এরই মাঝে জেনেছিলেন, নিজের ছবি তোলার ব্যাপারে আমার আগ্রহ বরাবরই কম। অন্যের ছবি তুলে দিতে খুব ভালো লাগে। তাই হয়তো তারেক ভাই আমাকে পেয়ে বসেন। মজা করেই জানতে চান, কার সাথে দেখা হলে তোমার নিজের ছবি তুলতে ইচ্ছে করবে? এরপর খানিক সময় নিয়ে, ভেবেচিন্তেই বলেছিলাম- হয়তো সত্যজিৎ রায় বেঁচে থাকলে তাঁর সাথে একটা ছবি তুলতে চাইতাম। এরপর ‘হুম’ বলে- সে রাতের মেন্যু ‘হানি মাস্টার্ড চিকেন’-এর দিকে সবাই মনোযোগ দিয়েছিলাম।
 
প্রসূন রহমান এর পরের গল্প দুদিন পরের। প্রচারণার প্রস্তুতি দেখতে নন্দন ভিজিট করতে যাওয়ার আগে আমরা ফাদার গাস্তন রর্বেজের সাথে তার বাসস্থানে দেখা করতে যাই। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডরমিটরিতে ছোট একটি রুমে একটি বিছানা, একটি বুকশেলফ, একটি কাপবোর্ড এবং একটি সাধারণ মানের লেখার টেবিল ছাড়া আর তেমন কিছু নেই। জানতে পারি, এই মানুষটি ষাটের দশকে সত্যজিৎ রায়ের ‘অপু ট্রিলজি’ দেখে কানাডা থেকে জাহাজে করে কলকাতায় এসেছিলেন, আর কোনোদিন ফিরে যাননি। এই রুমে তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন বিগত ৪৮ বছর। বাংলাদেশে গেছেন কয়েকবার। কথার ফাঁকে তিনি শেল্ফ থেকে একটা পুরনো ফাইল বের করে ইন্ডিয়ান টাইমসে ছাপা হওয়া তার একটি লেখার ফটোকপি বের করে দিলেন। কাগজটায় চোখ বুলিয়ে তারেক ভাইয়ের চোখ-মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই মানুষটি তারেক ভাইয়েরও শিক্ষক। তিনি ইন্ডিয়ান টাইমসে ‘মাটির ময়না’র একটি রিভিউ লিখেছেন ইংরেজিতে। সেখানে লিখেছেন, ‘মাটির ময়না’ একই সাথে ‘পথের পাঁচালি’র প্রতি এবং পূর্বসূরি নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রতি উত্তরসূরির শ্রদ্ধাঞ্জলি। সে লেখায় তিনি ‘পথের পাঁচালি’র সাথে ‘মাটির ময়না’র কিছু তুলনামূলক আলোচনাও রেখেছেন। সে রাতেই তারেক ভাই আমাকে লেখাটি অনুবাদ করার অনুরোধ করেন। এবং সেই অনুবাদটি পরের সপ্তাহেই দৈনিক প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায় ছাপা হয়।

দুটি গল্পের মাঝেই সত্যজিৎ আছেন। কিন্তু আমার মাঝে কতটা প্রভাব নিয়ে আছেন তার কোনও প্রকাশ কখনোই ঘটেনি। নিজেরও বুঝতে হয়তো সময় লেগেছে। কারণ, একটি কথা হয়তো সত্যি, এই বাংলায় আশির দশকে যাদের জন্ম তাদের অনেকেরই সত্যজিৎ রায়ের আগে পরিচয় সুকুমার রায়ের সাথে। এরপর বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালি’ হয়ে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’র সাথে পরিচয়। ‘পথের পাঁচালি’র অপু’র সাথে পরিচয়। বাবা লেখক বলে, নাকি নিজেদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ বলে কিনা জানি না, ট্রেনে চড়ে যতবার কিশোরগঞ্জ গেছি ততবার কটিয়াদি পেরিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখিয়েছেন- ওই দিকে একটি গ্রাম আছে, নাম মসূয়া, যেখানে সত্যজিৎ রায়ের আদি পুরুষের বাড়ি। সুকুমার রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়ের বাড়ি। হযবরল আর আবোল-তাবোল বই দুটোর কারণে সেসব নাম তখন বেশ পরিচিত ও প্রিয়। বড় হওয়ার সাথে সাথে ক্রমশ প্রিয় হয়ে ওঠে চলচ্চিত্র এবং প্রিয় হয়ে ওঠেন চলচ্চিত্রের এক মহৎ স্রষ্টার নাম। সে নাম সত্যজিৎ রায়।
 
কিন্তু সত্য হচ্ছে, সেই মসূয়া গ্রামে কখনও যাওয়া হয়নি। কখনও যাওয়া হয়নি বিশপ লেফ্রয় রোডে। যেমন কখনও ভাবা হয়নি সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে এসে তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হবে।
 
ভাবনাটা উসকে দেয় আসলে নেটফ্লিক্স-এর নির্মাণ করা ‘রে’ নামের সিরিজ আর সে সিরিজের প্রথম গল্পের প্রথম দৃশ্যের ১৪টি গালি। মনে হয়েছে প্রিয় নির্মাতার প্রতি ট্রিবিউট তো অন্যরকমও হতে পারে। একজন মাস্টার ফিল্মমেকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে তার সমমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেই দিতে হবে এমনও তো নয়। আমাদের তো যার যার জানা-বোঝার যেমন সীমাবদ্ধতা আছে, তেমনি সৃজনশীলতার সীমাবদ্ধতা আছে, সুযোগ ও অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতাও আছে। কিন্তু সীমিত হলেও সুযোগ তো আছেই। সৃজনশীলতার সাথে ইচ্ছাশক্তি যুক্ত হলে অসম্ভব কিছু নেই, সে বিশ্বাস সবসময়ই পাকাপোক্ত।
 
তারেক ভাইকে (তারেক মাসুদ) বলতাম, আমাদের যিনি আইডল তিনি কিন্তু শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি। প্রচুর টেক্সটও রেখে গেছেন। তিনি বলতেন, হ্যাঁ লেখাটা কম হচ্ছে। তুমি চালিয়ে যেও। আমাকেও মাঝে মাঝে তাগাদা দিও। লেখাটা কম হলেও তারেক ভাই বলতেন অনেক ভালো। সেই বলবার কথাগুলো একসাথে করেই একসময় তৈরি হয় ‘ফেরা’ নামের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র।
       
শুটিংয়ে সত্যজিৎ রায় যা হোক, এবার ফিরে আসা যাক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত আমাদের চলচ্চিত্র ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ প্রসঙ্গে। ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়ের জীবন নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নয়। কোনও বায়োপিক নয়। ট্রিবিউট ফিল্ম। এটি পরবর্তী প্রজন্মের নির্মাতাদের ওপর নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের প্রভাব ও তাদের দিক থেকে অগ্রজ নির্মাতার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর গল্প। সত্যজিৎ রায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত এই সময়ে সক্রিয় দুই প্রজন্মের দুই জন চলচ্চিত্র নির্মাতার গল্প। সত্যজিৎ রায়ের আদি পুরুষের ভিটা ভ্রমণকালে দুই নির্মাতার ভাবনা বিনিময়ের গল্প। এই প্রজন্মের একজন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা একজন প্রবীণ নির্মাতাকে নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের আদি পুরুষের ভিটা দেখতে যান। দিনব্যাপী সে ভ্রমণকালীন সময়ে নবীন নির্মাতার ক্যামেরায় প্রবীণ নির্মাতা বলে যান বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’র অপু থেকে সত্যজিৎ রায়ের অপু’র সাথে পরিচিত হওয়ার গল্প। ক্রমে তাঁর নিজের নির্মাতা হয়ে ওঠার গল্প। রায় বাবুর ‘অপু ট্রিলজি’র সাথে তার নিজের জীবনের ধারাক্রম ও বেড়ে ওঠার গল্প। তবে তাদের আলোচনা শুধু সত্যজিৎ রায় আর তার চলচ্চিত্রের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না। আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, সারদারঞ্জন রায়, সুকুমার রায়, হীরালাল সেন, অমর্ত্য সেন হয়ে ফাদার গাস্তন রবের্জসহ আরও অনেকেই। 

হয়তো আমাদের যা বলবার ছিল, সে কথাগুলোই দুই প্রজন্মের দুই নির্মাতার উচ্চারণে ভাগ হয়ে আসে। ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ আমাদের সময়ের আরও অনেকের কথা, অনেক সৃজনশীল মানুষের কথা বলে। সৃজনশীলতার কথা বলে, উদযাপনের কথা বলে। বাংলার কথা বলে, বাংলার মাটির কথা বলে, চলচ্চিত্রের কথা বলে, সাহিত্যের কথাও বলে। শেকড়ের কথা বলে, সংগীতের কথা বলে। সম্পর্কের কথা বলে, ভালোবাসার কথাও বলে। ছবিটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে, স্বাধীনভাবে নির্মিত। সেন্সর সার্টিফিকেটও পেয়েছে বিনা কর্তনে। সে অনুযায়ী চলচ্চিত্রটিতে যা বলবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার সবটুকুই সেখানে উপস্থিত আছে। ভালোবাসার সাথেই আছে। 

জন্মশতবর্ষে নেটফ্লিক্স তাদের ভালোবাসা জানিয়েছে একভাবে। সত্যজিৎ রায়ের নিজের শহর কলকাতা থেকেও জানানো হচ্ছে তাদের মতো করে। আমরাও জানানোর চেষ্টা করলাম আরেকভাবে। আমাদের যার যার ভালোবাসা প্রকাশের ভঙ্গিটা নিজের মতো থাকাই ভালো বলে বিশ্বাস করি।
 
পরিকল্পনা ছিল, জন্মদিনকে উপলক্ষ করে প্রেক্ষাগৃহে অথবা কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেয়ার। কিন্তু একই সময়ে ঈদ উদযাপনের সময় হওয়ায় বড় বাজেটের ছবিগুলোর পাশে এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে না, সেটা আগেই বোঝা গেছে। তাই উপলক্ষটি ধরবার জন্যে দেশীয় কয়েকটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আগেভাগেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সিনেমা ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও, ব্যবসাবুদ্ধির পলিসিতে সিনেমার কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায় কিংবা তার প্রতি ট্রিবিউট জানানোর প্রক্রিয়ায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের অংশগ্রহণের আগ্রহ নাও থাকতে পারে সেটা বুঝতে একটু দেরি হয়ে যায়। তাই উপলক্ষটি ঠিকভাবে হয়তো ধরা গেলো না। কিন্তু সীমিত পরিসরে হলেও সেটি প্রেক্ষাগৃহে আসবে। তাছাড়া বিকল্প প্রদর্শনী এবং অনলাইনের অন্য সকল দরজা-জানালা তো খোলা রইলোই।
 
বলা হয়ে থাকে সৃজনশীল কোনও কাজই সময়ের ধোপে টেকে না, যদি এর মাঝে যাপিত জীবনের বা পেরিয়ে যাওয়া সময়ের কোনও পাঠ, প্রতিফলন ও নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা না থাকে। সময়কে পাঠ করবার চেষ্টা এবং চতুর্মাত্রিক ক্যানভাসে খানিকটা ধরবার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ নির্মাণ প্রক্রিয়ার খেরোখাতা অথবা স্মৃতি-বিস্মৃতির কথা হয়তো পরে আবার লেখার সুযোগ হবে, আপাতত জন্মশতবর্ষের উপলক্ষকে সামনে রেখে পূর্বসূরি নির্মাতার প্রতি বর্তমানের বিনীত শ্রদ্ধাঞ্জলি।

প্রিয় সত্যজিৎ, আপনি আমাদের ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ ছবির পোস্টার

*প্রসূন রহমান নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: সুতপার ঠিকানা (২০১৫), জন্মভূমি (২০১৮), নিগ্রহকাল (২০১৯), ঢাকা ড্রিম (২০২১), প্রিয় সত্যজিৎ (২০২২)

*প্রসূন রহমান নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: রাইস এন্ড প্রে (২০০৮), ফেরা (২০১২), ব্যালাড অব রোহিঙ্গা পিপল (২০১৯), নদী ও নির্মাতা (২০২০), এই পুরাতন আখরগুলি (২০২১), মার্চ থেকে ডিসেম্বর (২০২১)

/এমএম/এমওএফ/
সম্পর্কিত
জানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
প্রয়াণ দিনে স্মরণজানা-অজানা ১০ তথ্যে সত্যজিৎ রায়
টরন্টো ও শিকাগো উৎসবে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’
টরন্টো ও শিকাগো উৎসবে ‘প্রিয় সত্যজিৎ’
শতবর্ষের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায় ‘পথের পাঁচালী’
শতবর্ষের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকায় ‘পথের পাঁচালী’
‘নিষিদ্ধ’ তকমা এবং সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
জন্মদিনে স্মরণ‘নিষিদ্ধ’ তকমা এবং সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
অবশেষে মুক্তির বার্তা
অবশেষে মুক্তির বার্তা
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
হলিউডের প্রস্তাব ফেরালেন ক্যাটরিনা!
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
টিভি ধারাবাহিকে খলনায়িকা রিনা খান
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
এই গরমে শিরোনামহীনের শীতল সুর!
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া
নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি জয়া