X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

রুশ সিনেমা ও আলোকচিত্র নিয়ে ঢাকায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন রিপোর্ট
০২ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:৪৪আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৮

ঢাকায় বসে বড় পর্দায় রাশিয়ার চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ। আর সেই সুযোগটা করে দিয়েছে যৌথভাবে রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার, রাশিয়ান সোসাইটি ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার (২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটোরিয়ামে ‘রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ শীর্ষক আয়োজনটির উদ্বোধন করা হয়েছে।

উৎসবের প্রথম দিন বিখ্যাত রুশ চলচ্চিত্র ‘বালাদ অব এ সোলজার’ প্রদর্শিত হয়। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) শেষ হবে দুই দিনব্যাপী আয়োজনটি। এ দিন দেখানো হবে ‘হার্ট অব আ ডগ’ এবং ‘পাইরেটস অব দ্য এক্সএক্স সেঞ্চুরি’ ছবি দুটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা অন্যদিকে আলোকচিত্র প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রতি রুশ সরকারের নানাবিধ ভূমিকা ঘিরে। স্বাধীনতার পর রুশ সেনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাইন অপসারণে এ দেশের সরকারকে সহযোগিতা করেছিল। পাশাপাশি রুশ নাবিকেরা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের নৌবাহিনী গঠনেও ভূমিকা রেখেছিল। সেসব বিষয় জায়গা পেয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে।

সোমবার (২ অক্টোবর) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্টিয়েভিচ মানতিতস্কি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন ফাতিনাজ ফিরোজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া, রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার প্রধান পাভেল আলেকজান্দ্রেভিচ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান প্রমুখ।

এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।

বক্তব্য রাখছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধকে স্বরণ করে রুশ রাষ্ট্রদূত মানতিতস্কি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক দীর্ঘ ও পুরনো। সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষ একে অন্যকে জানতে পারে। সে ধারা অব্যাহত রাখতেই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। আশা করি আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে।’

রুশ কালচারাল সেন্টারের প্রধান তার বক্তব্যে বললেন, ‘রুশ শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার সময় যেমন সোভিয়েত সরকার আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছে, তেমনি স্বাধীনতার পর এ দেশের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়া উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা মতিন রহমানের বক্তব্য ছিল এরকম, ‘বিশ্বে সোভিয়েত ইউনিয়নেই প্রথম ফিল্ম স্কুল চালু হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চলচ্চিত্রকে পাঠ্য হিসেবে প্রথম যুক্ত করে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দুই দেশের সংস্কৃতি পাঠের চর্চাও পুরনো।’

এমন আয়োজনে রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার এবং রাশিয়ান সোসাইটিকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান।

/কেআই/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় সদর দফতরে হামলার দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় সদর দফতরে হামলার দাবি রাশিয়ার
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আকাশসীমার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এস্তোনিয়ার
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আকাশসীমার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ এস্তোনিয়ার
ওডেসায় একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫
ওডেসায় একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫
বিনোদন বিভাগের সর্বশেষ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
সাংবাদিক হতে চেয়ে অভিনেত্রী!
মুবিতে মুক্তি দেশি মুভি
মুবিতে মুক্তি দেশি মুভি
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা
মে দিবসে ফুঁসে উঠলেন সিনেমা শ্রমিকরা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা