দুজনেই শীর্ষ নায়িকা। দুজনেই শাকিব খানের স্ত্রী। দুজনেই সন্তানের মা। দুজনেই সারাক্ষণ সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেগে থাকেন নিজেকে শাকিব খানের ঘনিষ্ঠ প্রমাণের কার্যক্রমে! যেন এই ধরায় তাদের জন্মই হয়েছে প্রাক্তন স্বামীকে ঘিরে একই কাজ দুজনে কাছাকাছি সময়ে করার জন্য!
তবে একই কাজ করতে করতেও মাঝে মাঝে আলাদা হয়ে ধরা দেন অপু-বুবলী। যেমন চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে যখন গোটা দেশ ফুঁসে উঠেছে পক্ষে-বিপক্ষে, তখন দেশের প্রায় সব স্তরের মানুষই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে তাদের মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। বিশেষ করে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রক্ত ঝরার ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ছেন দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ। সেই হতাশা গ্রাস করেছে নায়িকা শবনম বুবলীকেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মনেও দাগ কেটেছে কিংবা রক্ত ঝরেছে হৃদয়ে চলমান হতাহতের ঘটনায়। তাই তো নায়িকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্তমাখা একটি লগো সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তুলেছেন প্রশ্ন। বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরবে কেন?’
বুবলীর এমন পোস্ট এক ঘণ্টায় শেয়ার হয়েছে তিন শতাধিক। পড়ছে অজস্র কমেন্ট। যেখানে বুবলী ভাসছেন ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতায়। কারণ, রাষ্ট্রের এমন সংস্কার সময়ে শিল্পীদের মাঠে চায় না মানুষ; সমর্থন পেলেই খুশি থাকেন সবাই। বুবলী সেই সময়টি কাজে লাগিয়েছেন প্রপারলি।
অথচ একই দিন একই সময়ে বড্ড ভুল করে বসেছেন বুবলীর সিনিয়র অপু বিশ্বাস। শাকিব খানের একটি ছবি পোস্ট করে ১৬ জুলাই দুপুরে তিনি লিখেছেন, ‘Congratulation ❤️বাবুর বাবা’!
এমন রক্তক্ষয়ী সময়ে অপু বিশ্বাসের ‘বাবুর বাবা’র আদিখ্যেতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অধিকাংশ। আর সাধারণ ভক্ত ও দর্শকদের সমালোচনার তো অন্ত নেই! যার বেশিরভাগই গণমাধ্যমে প্রকাশযোগ্য নয়।
মজার তথ্য, ‘বাবুর বাবা’ ইস্যুতে তোপের মুখে পড়ে অপু বিশ্বাস ১৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লাল ব্যানারে পোস্ট দেন, ‘সহিংসতা কাম্য নয়...’!