টাঙ্গাইলে কসমেটিক ব্যান্ড ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুম উদ্বোধন স্থগিত করার প্রতিবাদস্বরূপ ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) পরীমণি একটি পোস্ট দেন। এর ঠিক পরদিনই অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি (রবিবার) বোট ক্লাব কাণ্ডের মামলায় পরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। কেউ পরীকে সমর্থন দিচ্ছেন তো কেউ আবার পরীকে করছেন দোষারোপ।
তবে পরী এসব গায়েই মাখছেন না। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি মোটেও চুপ থাকার মেয়ে না। যা সত্যি তা তিনি বলবেনই।
গণমাধ্যমকে পরী বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে বিষয়টি সামনে আনা দরকার। না হলে ধীরে ধীরে এটা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। হয়তো আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে চুপ থাকতেন। কিন্তু আমি তো চুপ থাকতে পারি না। আমি চুপ থাকার মেয়ে না। যা সত্যি তা তো বলতেই হবে। এটা তো আমার দেশ, আমার ইন্ডাস্ট্রি। নিজের দেশে কেন নিরাপদে কাজ করতে পারবো না।’
যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে তিনি কাজ করছেন তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। সেটি আমলেও নিচ্ছেন না পরী। বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান যেটা ভালো মনে করে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে করবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রতিবাদ করা তো আমারও দায়িত্ব। সেই দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেই আমি কথা বলেছি। ফেসবুকে লিখেছি।’
প্রতিবাদের পরদিনই এলো গ্রেফতারি পরোয়ানা, এটা ভীষণ কষ্টের জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ করার জন্য যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় তাহলে কষ্টকর। মানুষ কথা বলা ছাড়া কীভাবে থাকবে। যে চুপ থাকতে চায় সে চুপ থাকুক। কিন্তু যে বলতে চায় তাকে তো বলতে দিতে হবে। তবে এটি যেহেতু আদালতের বিষয়, আইনি প্রক্রিয়া, আমিও আইনি প্রক্রিয়াতেই হাঁটবো। বিষয়টি আমার আইনজীবীই দেখছেন।’
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে কসমেটিক ব্যান্ড ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুমের ২৫ জানুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল পরীমণির। কিন্তু স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে স্থগিত করা হয়েছে অনুষ্ঠানটি।