ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের চাপ সত্ত্বেও সামরিক ব্যয় বাড়াতে রাজি নয় ন্যাটোভূক্ত জার্মানি। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল জানিয়েছেন, জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করলে তা বাস্তবসম্মত হবে না।
গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘জার্মানি তার জিডিপির দুই শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করবে, এটা কোনও বাস্তবসম্মত কথা নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যখন খরচের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হয়, তখন উন্নয়ন খাতে আমরা যে খরচ করি, তাকেও হিসেবের খাতায় নিতে হবে। শুধু সামরিক ব্যয় দিয়ে তার পরিমাপ করা যায় না।’ ব্রাসেলসে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছেন।
টিলারসন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা স্পষ্ট করে বলেছেন তা হলো, ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অনানুপাতিক ভার বহন করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আর সম্ভব নয়।’ রেক্স টিলারসন ন্যাটো দেশগুলোকে বরাদ্দ বৃদ্ধির ব্যাপারে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পরিকল্পনা উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। মে মাসে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে এ লক্ষ্যে কাজ করতে তিনি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান। টিলারসন ইউক্রেনে রুশ ‘আগ্রাসনের’ সমালোচনাও করেছেন।
২০১৪ সালে ওয়েলস সম্মেলনে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো নিজেদের জিডিপির দুই শতাংশের সমান অর্থ জোটের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ দিতে সম্মত হয়।
টিলারসনের মতো ন্যাটো প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গও জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক ব্যয় বাড়াতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কূটনীতি, উন্নয়ন বা আর্থিক সহযোগিতা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। এজন্য জিডিপির ০.৭ শতাংশ বরাদ্দ থাকার কথা নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু সামরিক খাতে যে দুই শতাংশ বরাদ্দের চুক্তি হয়েছে, তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটা উন্নয়ন ও নিরাপত্তার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার বিষয় নয়। এটি উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়।’
আগামী ২৫ মে ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি।
/এসএ/বিএ/
