উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও’র গোপন বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তাদের দুই জনের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করেছেন মাইক পম্পেও। এটা ছিল খুব সাবলীল বৈঠক এবং তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের (ট্রাম্প-কিম বৈঠক) বিস্তারিত খুঁটিনাটি নিয়ে এখন কাজ চলছে। পুরো দুনিয়ার জন্য পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ দারুণ ব্যাপার হবে, উত্তর কোরিয়ার জন্যও বটে!’
ট্রাম্পের এই টুইটের তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে বিমানযোগে পিয়ংইয়ং সফরে যান মাইক পম্পেও। এই সফরের কয়েক দিন আগেই নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করছেন। বৈঠকের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে পাঁচটি স্থানকে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আগামী জুনের প্রথম দিকে দুই নেতার এই বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জের ধরে কয়েক দশক ধরেই উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করে আসছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। অবরোধ উপেক্ষা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া উত্তর কোরিয়া চলতি বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ দেখায়। প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আলোচনার প্রস্তাব পাঠায় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলে সম্ভাব্য বৈঠক কোথায় হবে তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে আলোচনা শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সরাসরি কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে বিগত দিনগুলোতেও মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন। ২০০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেডেলিন অলব্রাইট তখনকার উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা কিম জং উনের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রধান জেমস ক্ল্যাপলার এক গোপন সফরে উত্তর কোরিয়া যান। দেশটিতে আটক থাকা দুই মার্কিন নাগরিকের মুক্তি বিষয়ে দূতিয়ালি করতে যাওয়া ওই সফরে কিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি তিনি।