লিবীয় উপকূলে কন্টেইনারে শ্বাসরোধ হয়ে আট অভিবাসন প্রত্যাশীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৯০ জনকে। তাদের সবাইকেই হিমশীতল কন্টেইনারে করে ইউরোপে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। লিবীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, ওই কন্টেনার থেকে ৯০ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। জুয়ারা শহরের নিরাপত্তা দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের অবস্থা গুরুতর।
দুর্বল কেন্দ্রীয় সরকার আর ইতালির সঙ্গে সীমান্ত থাকার সুযোগে বিপদজনকভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউইউরোপে প্রবেশ করতে এই উপকূল ব্যবহার করতে পছন্দ করে শরণার্থী ও অবৈধি অভিবাসন প্রার্থীরা। গত বছর এই পথ পাড়ি দিয়ে ইতালি ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থী পৌঁছেছে। এই পথ ব্যবহার করতে গিয়ে চলতি বছরের জুনের প্রথম দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবে নিহত হয় প্রায় ১১২ শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশী। ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে নৌকাডুবে প্রায় ৯০ জন নিহত হয়।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে জুয়ারা শহর। পশ্চিম উপকূলের এই শহরই বেশি ব্যবহার করে পাচারকারীরা। নৌকায় করে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে এই পথ দিয়েই আসতে চান অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
কর্মকর্তারা জানান, অভিবাসীরা আফ্রিকা ও আরব দেশ থেকেই বেশি আসে। তবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশিও রয়েছেন তাদের মধ্যে। তাদের সবাইকে একটি হিমশীতল কন্টেইনারে করে পাচার করা হয়।