X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রনেতাদের চুরি করা অর্থ শরণার্থীদের কল্যাণে ব্যয়ের আহ্বান

বিদেশ ডেস্ক
২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৩আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৬
image

দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রনেতাদের জব্দকৃত অবৈধ অর্থ শরণার্থীদের কল্যাণে ব্যয়ের জোরালো দাবি তুলেছে বিশ্ব শরণার্থী পরিষদ (ওয়ার্ল্ড রিফিউজি কাউন্সিল)। বিশ্বব্যাংককে উদ্ধৃত করে তারা বলছে, এরমধ্যে ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি ডলার জব্দ করে ব্যাংকে রাখা হয়েছে। জব্দকৃত অর্থ শরণার্থীদের কল্যাণে ব্যবহারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সিরীয় শরণার্থী (ফাইল ফটো)
জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৮৫ লাখ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শরণার্থী সংখ্যার ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ।   সম্প্রতি জাতিসংঘের অনুদাননির্ভর শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সতর্ক করেছেন, তাদের তহবিল ফুরিয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার অ্যা কল টু অ্যাকশন: ট্রান্সফর্মিং দ্য গ্লোবাল রিফিউজি সিস্টেম শিরোনামে ২১৮ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে শরণার্থী পরিষদ। ওই প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে সংঘাত, নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুতি ও শরণার্থী পরিস্থিতির ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়।

২৪ সদস্যবিশিষ্ট বিশ্ব শরণার্থী পরিষদ গঠিত হয় ২০১৭ সালের মে মাসে। কানাডার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অ্যাক্সওয়ার্থি এর সভাপতি। অ্যাক্সওয়ার্থি বিশ্বব্যাংকের সম্ভাব্য পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের চুরি করা বিপুল পরিমাণ অর্থের মধ্যে জব্দকৃত অবস্থায় ব্যাংকে রয়েছে ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত দেশে অবৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থের সুরক্ষায় তা ভিন্ন দেশের ব্যাংকে জমা রাখে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা। জব্দকৃত অর্থ কালো টাকা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং তা লেনদেন করা যায় না। তবে অ্যাক্সওয়ার্থি প্রস্তাব দিয়েছেন, শরণার্থী কল্যাণে ব্যয়ের স্বার্থে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট আইন অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এ অর্থ পুনর্বণ্টনের পথ করে দিতে পারে। কীভাবে এ টাকা উদ্ধার করা যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কতগুলো দেশ ও সরকার আইন পাস করে তাদের আদালতকে বাজেয়াপ্ত অর্থ পুনর্বণ্টন করার এখতিয়ার দেবে তার ওপরই পুরো বিষয় নির্ভর করছে।

বিশ্ব শরণার্থী পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া মানুষদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। বিশ্বে তারাই সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে আছে। শরণার্থী পরিষদ মনে করে, শরণার্থী নারী ও শিশুদের বাজেয়াপ্ত সে অর্থ দিয়ে বেশি করে সহায়তা দেওয়া যেতে পারে।

/এফইউ/বিএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
বেড়িবাঁধে উন্নত নিরাপত্তা ও গতিশীলতা: মেয়র আতিকের কাছে ইউল্যাবের আবেদন
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা