শ্রীলঙ্কায় রবিবার সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিহত ভারতীয় নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে ভারতীয় হাই কমিশনের এক টুইটার পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও সে টুইটটি রিটুইট করে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার দুপুরে সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল হাই কমিশন।
রবিবার (২১ এপ্রিল) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও তার আশেপাশের তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলসহ আটটি স্থানে বিস্ফোরণ চালানো হয়। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ২৯০ জন। আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি।
সোমবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতীয় হাই কমিশনের একটি টুইটকে রিটুইটর করার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করেছেন, শ্রীলঙ্কায় হামলার ঘটনায় নিহত ভারতীয়-এর সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে।
হাই কমিশনের টুইটে বলা হয়েছে, ‘গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এইচ শিভাকুমার নামে আরও এক ভারতীয়ের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহত ভারতীয়ের সংখ্যা আটজনে দাঁড়িয়েছে।’
Sri Lankan Foreign Ministry has confirmed the death of one more individual - H Shivakumar - in the blasts yesterday, taking the total number of Indian deaths in the tragedy to 8 till now.@SushmaSwaraj
— India in Sri Lanka (@IndiainSL) April 22, 2019
এদিকে সিরিজ বোমা হামলাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সোমবার (২২ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে এ জরুরি অবস্থা কার্যকরের ঘোষণা দেবেন। সোমবার জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের মিডিয়া টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদ দমন থেকে শুরু করে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত কাজগুলো করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মধ্যরাত নাগাদ তা ঘোষণা করা হবে।’
জরুরি অবস্থার আওতায় বাড়তি ক্ষমতা প্রযোগের সুযোগ পাবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আদালতের আদেশ ছাড়াই তারা সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। রবিবারের হামলার ঘটনায় কেউ দায় স্বীকার না করলেও নবগঠিত উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠন ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত-কে সন্দেহ করছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংযোগ থাকার ব্যাপারেও সন্দেহ করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক এ সংযোগ শনাক্ত করতে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিদেশি সহায়তা চাইবেন বলেও জানানো হয়েছে।
মিডিয়া টিমের বিবৃতিতে বলা হয়,‘গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, স্থানীয় জঙ্গিদের নেপথ্যে বিদেশি জঙ্গি সংগঠনগুলোর মদত রয়েছে। সেকারণে বহির্বিশ্বের সহযোগিতা চাইবেন প্রেসিডেন্ট।’