X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার

বিদেশ ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০২০, ১০:০৬আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩৮

কারাবাখের যুদ্ধ বন্ধে মঙ্গলবার একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান এ চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি রাশিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ চুক্তিকে নিজ দেশের জন্য একটি গৌরবজনক বিজয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে চুক্তিটিকে নিজের ও নিজ দেশের জনগণের জন্য বেদনাদায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান।

আজেরি বাহিনী আর্মেনিয়ার কাছ থেকে কারাবাখের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর শুশা দখলের পর এ চুক্তিতে উপনীত হয় তিন দেশ। শুশা কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলেও চুক্তিতে রাশিয়া যুক্ত হয়েছে মূলত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে।

চুক্তির পর আবেগঘন এক ফেসবুক পোস্টে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, সংঘাত বন্ধে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে চুক্তি কার্যকর হবে।

রাশিয়া ও আজারবাইজানের পক্ষ থেকেও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠকে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, সংঘাত নিরসনে ত্রিপক্ষীয় এই সমঝোতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বৈঠকটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ব্যক্তিগতভাবে আমার এবং আমাদের জনগণের জন্য আমার কাছে অবর্ণনীয় ও বেদনাদায়ক। তবে বিদ্যমান সামরিক পরিস্থিতির একটি গভীর গভীরতা বিশ্লেষণ করেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সরকার। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটিই সবচেয়ে ভালো সমাধান।

এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। তিনি বলেন, আজারবাইজানের সামরিক সাফল্যের কারণে আর্মেনিয়া সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে কোনও রক্তপাত ছাড়াই আমরা আমাদের এলাকা ফেরত পাবো।

টুইটারে দেওয়া পোস্টে ইলহাম আলিয়েভ বলেন, তিন দেশের এই যৌথ বিবৃতির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এই সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। পরে ২০১৬ সালের শুরুতেও সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পুরনো সংঘাত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে আবার শুরু হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, এ সংঘাতে এরইমধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। উভয়পক্ষেরই দুই হাজারেরও বেশি করে মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর সামরিক জোটের সদস্য আর্মেনিয়া, যার নেতৃত্বে রয়েছে রাশিয়া। আবার আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ মিত্র তুরস্ক। তুর্কি ও আজেরি রাজনীতিকরা দুই দেশের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে একটি বাক্য ব্যবহার করে থাকেন। এটি হচ্ছে, ‘এক জাতি, দুই দেশ।’ দুই দেশের মানুষের ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্মের মিল রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।

/এমপি/
সম্পর্কিত
তিনটি গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিলো ইউক্রেন
এপি'র সাংবাদিককে গ্রেফতার করলো রাশিয়া
ডনেস্কের একটি গ্রাম দখল করলো রাশিয়া
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ