X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘এল নিনো'র প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের আশংকা

বিদেশ ডেস্ক
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫, ১৭:৩৫আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:২৪
image

বন্যায় আক্রান্ত আর্জেন্টিনার একটি অঞ্চল সমুদ্রের উষ্ণ জলস্রোতজনিত এল নিনোর কারণে সামনের দিনগুলোতে পৃথিবীতে ভয়াবহ দুযোর্গ নেমে আসতে পারে বলে সতর্ক করে দিল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই দুর্যোগ ১৯৯৮ সালের মতো ভয়াবহ হতে পারে বলেও আশংকা করছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থার বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানাচ্ছে,  রেকর্ডের তালিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী এই এল নিনোর কারণে ২০১৬ সালটিতে ক্ষুধা ও রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ভয়াবহভাবে বাড়বে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দেবে প্রচণ্ড খরা।
এল নিনো হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রার একটি নিরবচ্ছিন্ন পরিবর্তন।  পূর্ব-কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শান্ত সমুদ্রের জলের গড়পড়তা তাপমাত্রায় যখন কমপক্ষে ০.৫° সেলসিয়াস হ্রাস-বৃদ্ধি হয় তখনকার পরিস্থিতিকে এল নিনো বলে বিবেচনা করা হয়৷ ২ থেকে ৭ বছর পরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। ২০১৫ সালকে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরে পরিণত করতে ভূমিকা রেখেছে এল নিনো। এ বছরে প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের ভয়াবহ বন্যা এবং উত্তর গোলার্ধের ভয়াবহ উষ্ণতাও এল নিনোরই ফলাফল। আগামি আরও এক বছর এল নিনো পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

এল নিনো

অক্সফামের মতো বেসরকারী সাহায্য সংস্থার বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, যেসব অঞ্চলে এল নিনোর সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে তার মধ্যে আফ্রিকা অন্যতম। আসছে বছর ফেব্রুয়ারিতেই মহাদেশটিতে খাদ্য সংকট সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। পরবর্তী ছয়মাস ধরে ক্যারিবিয়া, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল  এল নিনোর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশংকা করা হচ্ছে।

 

বন্যা ও খরা অব্যাহত থাকায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতোটা ব্যাপক হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। তারা বলছে, এতে আফ্রিকাজুড়ে লাখ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। আশংকা করা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির। এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেছে তারা। এই মুহূর্তেই ইথোপিয়া, হাইতি আর পাপুয়া নিউ গিনির মতো দেশগুলোর জন্য সহায়তার দরকার বলে জানিয়েছেন তারা।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী নিক হার্ড বলেন, “এই বিশেষ শক্তিশালী এল নিনোর বিরুদ্ধে আমাদের এখনই ভূমিকা রাখা দরকার,  এতে ব্যর্থ হলে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ হব।” ২০১৬ সালেও অব্যাহত থাকা এল নিনোর চাপের সঙ্গে সিরিয়া, ইয়েমেন ও দক্ষিণ সুদানের যুদ্ধের চাপ যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠতে পারে বলেও আশংকা করছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো। সূত্র: বিবিসি, উইকিপিডিয়া

/বিএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
ভারতের উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর
এই ৫ কথা প্রকাশ্যে না আনাই ভালো
এই ৫ কথা প্রকাশ্যে না আনাই ভালো
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই
দুই বছর পর আবার একসঙ্গে...
দুই বছর পর আবার একসঙ্গে...
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?