ব্রাজিলের সাও পাওলো প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার আখক্ষেত থেকে শনিবার (২৪ আগস্ট) এর সূত্রপাত হয়। আগুনের কারণে কালো ধোঁয়ায় আশেপাশের শহর ছেয়ে গেছে। এছাড়া ৩৬টি শহরে ‘উচ্চ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
দাবানলের কারণে সাও পাওলোর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিবেইরাও প্রেতোতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ধোঁয়ার কারণে দৃষ্টিসীমা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় বেশ কিছু মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয় প্রচারমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উচ্চতাপ ও কালো ধোয়ার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে কারণে মারা যাওয়া গবাদি পশুর মৃতদেহ মাঠেঘাটে যত্রতত্র পড়ে আছে।
৫৬ বছর বয়সী কৃষক সিলভিও দানতাস বলেছেন, ‘দমকলকর্মীরা আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আগুনে গাছপালা ও ঘড়বাড়ি পুড়ে গেছে, গবাদি পশু মারা গেছে। কিন্ত আমরা কিছুই করতে পারছি না। পুরো বিষয়টাই অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
সাও পাওলোর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ৩৬ টি শহরে উচ্চ সতকর্তা জারি করা হয়েছে। খরা মৌসুমে ক্ষেত শুষ্ক হয়ে আছে। এরমধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
সাও পাওলোর গভর্নর তারচিসিও দ্য ফ্রেইতাস বলেছেন, ‘দমকল বাহিনীর বিমান থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এই কাজের জন্য বাড়তি বিমান ভাড়া করা হয়েছে।’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার রিবেইরাও প্রেতোর নিকটবর্তী উরুপেস এলাকায় একটি চিনিকলে আগুন নিয়ন্ত্রণকালে দুই দমকলকর্মী নিহত হন। এছাড়া এই আগুনে দুইশ’ হেক্টর জমির আখক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এদিকে ব্রাজিলের বৃহত্তম সাও পাওলো শহরে শুক্রবার কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে গিয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পরদিন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়।
ব্রাজিল সাধারণত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দাবানলের শিকার হয়। তবে চলতি বছর মে মাসে বিশ্বের বৃহত্তম জলাভূমি পানতানালে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি তথ্যমতে, আমাজনে জুলাই মাসে দুদশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক দাবানল দেখা গেছে।