নিউ জিল্যান্ডের একটি দুগ্ধ কোম্পানিকে তাদের পণ্যগুলোতে স্থানীয় উৎপাদিত বলে উল্লেখ করে আমদানিকৃত ভারতীয় মাখন ব্যবহারের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে ৪ লাখ ২০ হাজার নিউ জিল্যান্ড ডলার (প্রায় ২ লাখ ৬১ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) নিউ জিল্যান্ডের কমার্স কমিশন জানায়, মিলকিও ফুডস লিমিটেড নামক কোম্পানিটি তাদের শতভাগ খাঁটি নিউ জিল্যান্ড ঘি পণ্যে ব্যবহৃত মাখনের উৎস সম্পর্কে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করেছে।
হ্যামিল্টনভিত্তিক মিলকিও কোম্পানি ফেয়ার ট্রেডিং অ্যাক্টের ১৫টি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছে। এর মধ্যে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন এবং অনুমোদন ছাড়াই নিউ জিল্যান্ডে তৈরি পণ্য চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত ফার্নমার্ক লোগোর ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
কমার্স কমিশনের ফেয়ার ট্রেডিং জেনারেল ম্যানেজার ভেনেসা হর্ন বলেন, নিউ জিল্যান্ডের দুগ্ধ শিল্পের আন্তর্জাতিক সুনাম ও উচ্চমান ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দেশের দুগ্ধ শিল্প ও রফতানির মূল্য নির্ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, মিলকিও তাদের পণ্য প্রচারের জন্য ‘নিউ জিল্যান্ডের পরিচ্ছন্ন সবুজ ঘাসে উৎপন্ন দুগ্ধ খামার থেকে’ এবং ‘নির্মল নিউ জিল্যান্ডে উৎপাদিত ও প্রস্তুত’-এর মতো বর্ণনা ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব পণ্যকে প্রচার করেছে, যদিও তাদের কিছু পণ্যতে আমদানিকৃত ভারতীয় মাখন ব্যবহার করেছে।
হর্ন বলেন, এই মামলা অন্যান্য কোম্পানির জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে, যারা মিথ্যা দাবি করে নিউ জিল্যান্ডের ব্র্যান্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারে।
মিলকিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নিউ জিল্যান্ডের দুগ্ধ শিল্প দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম বড় আয়কারী খাত। মাত্র ৫০ লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যা নিয়ে দেশটি বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। নিউ জিল্যান্ড ডেইরি কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশনের মতে, দেশটির দুগ্ধজাত পণ্যের ৯৫ শতাংশেরও বেশি বিদেশে রফতানি করে।
নিউ জিল্যান্ড ট্রেজারির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে মার্চ পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডের দুগ্ধ পণ্য রফতানি মূল্য ২৩.৭ বিলিয়ন নিউ জিল্যান্ড ডলার (প্রায় ১৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), যা মোট রফতানির প্রায় এক-চতুর্থাংশ।