লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চালানো এই হামলায় কয়েকশ’ রকেট লঞ্চার ব্যারেল ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে যেকোনও সময় আক্রমণ করার জন্য এসব অস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল বলে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রায় হাজারখানেক ব্যারেল সম্বলিত শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে তাদের যুদ্ধবিমান।
লেবাননে হিজবুল্লাহর রেডিও ও পেজার যন্ত্র বিস্ফোরণের পর এই হামলা চালানো হলো। ওই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন নিহত ও প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করছে হিজবুল্লাহ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও সক্ষমতার বিনাশ সাধনে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
লেবাননের নিরাপত্তা বিষয়ক তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন জুড়ে কয়েক ডজন বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় তাৎক্ষণিক কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
হামলার পর ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে দু’পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রও।
উল্লেখ্য, চলমান গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে হিজবুল্লাহ। তাই যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলা চালিয়ে আসছে তারা। এতে সেখানকার বাসিন্দারা দেশের মধ্যাঞ্চলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ঘোষণায়, পালিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে ঘরে ফেরাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।