X
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
৩ আষাঢ় ১৪৩২

ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব আটকে দিলো সিনেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২

গাজায় ফিলিস্তিনিদের মারাত্মক মানবিক সংকট অবসানের জন্য মার্কিন সিনেটে উত্থাপিত তিনটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে খারিজ হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে কিছু অস্ত্রের সরবরাহ বন্ধ করা। কিন্তু বুধবার (২০ নভেম্বর) ডেমোক্র্যাটিক ককাসের কিছু সদস্য এই প্রস্তাবগুলোর পক্ষে ভোট দিলেও ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের বিরোধিতার কারণে সেগুলো পাস হয়নি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েলে ট্যাংকের গোলা সরবরাহ বন্ধের প্রথম প্রস্তাব ৭৯-১৮ ভোটে বাতিল হয়। দ্বিতীয় প্রস্তাব, যা মর্টার গোলা সরবরাহ বন্ধের উদ্দেশ্যে ছিল, তা ৭৮-১৯ ভোটে বাতিল হয়। আর জেডিএএমএস (জয়েন্ট ডিরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন সিস্টেম) কিট সরবরাহ বন্ধের জন্য উত্থাপিত তৃতীয় প্রস্তাব ৮০-১৭ ভোটে বাতিল হয়।

সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সসহ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট প্রস্তাবগুলোতে সমর্থন দিয়েছিলেন। ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন আচরণের কঠোর সমালোচক এই রাজনীতিবিদগণ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

কংগ্রেসের প্রধান দুই দলই ইসরায়েলের পক্ষে থাকার কারণে প্রস্তাবগুলো পাস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। বাইডেন প্রশাসনও এই প্রস্তাবগুলোর বিরোধিতা করে জানিয়েছে, ইরানসহ অন্যান্য হুমকির মুখে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বজায় রাখা প্রয়োজন।

অবশ্য প্রস্তাবগুলোর পক্ষে থাকা আইনপ্রণেতারা আশা করেছিলেন, এগুলো পাস না হলেও এক ধরনের সচেতনতা তৈরি হবে। ফলশ্রুতিতে ইসরায়েল ও বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তবে মার্কিন প্রশাসনের দাবি, তারা গাজার মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

গত মাসে বাইডেন প্রশাসন গাজায় মানবিক সাহায্যের প্রবাহ বাড়াতে ইসরায়েলকে ৩০ দিন সময় বেঁধে দেয়। লক্ষ্যপূরণে ব্যর্থ হলে মার্কিন সামরিক সহায়তা হ্রাস পেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়।

৩০ দিন পার হলে প্রশাসন জানায়, গাজায় মানবিক অবস্থার ধীর হলেও অগ্রগতি করেছে ইসরায়েল। তবে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা তাদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয়।

মার্কিন আইন অনুযায়ী বড় পরিমাণের বিদেশি অস্ত্র বিক্রি আটকে দেওয়ার অধিকার কংগ্রেসের রয়েছে। যদিও এর আগে,সদ্য উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোর সদৃশ কিছু কখনও পাস হয়নি, সিনেটে এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে ভোট বাধ্যতামূলক। অতীতে এ ধরনের প্রস্তাবে উত্তপ্ত বাগবিতণ্ডার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রেসিডেন্টের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

/এসকে/
সম্পর্কিত
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
খামেনি কোথায় লুকিয়ে জানি, এখনই হত্যা করবো না: ট্রাম্প
ইরানে ‘রেজিম পরিবর্তনের’ স্বপ্ন নেতানিয়াহুর, ট্রাম্প কী করবেন?
সর্বশেষ খবর
মতিঝিলে অটোরিকশার ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশ আহত, চালককে এক মাসের কারাদণ্ড
মতিঝিলে অটোরিকশার ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশ আহত, চালককে এক মাসের কারাদণ্ড
৪৪ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী বরিশালে, উদ্বেগ আছে করোনা নিয়েও
৪৪ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী বরিশালে, উদ্বেগ আছে করোনা নিয়েও
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ
সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সুনামগঞ্জে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
ইসরায়েলি হামলার পর তেহরানের হাসপাতালে ‘রক্তস্নান’
ম্যাক্রোঁকে আক্রমণ ট্রাম্পের, বললেন যুদ্ধবিরতি নয়, বড় কিছু ঘটছে
ম্যাক্রোঁকে আক্রমণ ট্রাম্পের, বললেন যুদ্ধবিরতি নয়, বড় কিছু ঘটছে
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
‘ভয় দেখিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচার থেকে দূরে সরানো যাবে না’
জামায়াতের অনুপস্থিতির বিষয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকজামায়াতের অনুপস্থিতির বিষয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
ডিসি ফিট লিস্টের জন্য ডাক পেলেন ৪০ কর্মকর্তা
ডিসি ফিট লিস্টের জন্য ডাক পেলেন ৪০ কর্মকর্তা