রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় কমিশনের ঘোষিত সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞায় নেই দেশটির তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)। বিকল্প সরবরাহকারী নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত রুশ এলএনজির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনীতিবিদরা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এক কূটনীতিবিদ বলেছেন, আমরা প্রথমে একটা চুক্তি (এলএনজি বিষয়ে) নিশ্চিত করতে চাই। নইলে আমরা রুশ বা মার্কিন কারও গ্যাসই পাব না।
২০২২ সালে ইউক্রেনে শুরু করা রুশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউ। তারই ধারাবাহিকতায় গত জুনে রুশ এলএনজিবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ইউরোপের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর ব্যবহার করে জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর করে এশিয়ায় এলএনজি রফতানি করছিল মস্কো। তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে বেশি পরিমাণ রুশ এলএনজি ইউরোপেই রয়ে গেছে। ফলে কিছু সদস্য রাষ্ট্র আরও কঠোর নিয়ম আরোপের পাশাপাশি সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানায়।
তবে, কয়েকটি সদস্য দেশের বিরোধিতার কারণে কমিশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ইইউ সূত্র জানিয়েছে, প্রচণ্ড শীত, গ্যাস মজুদের ঘাটতি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারির জার্মান নির্বাচনের সময়সীমা এ প্রস্তাবের সম্ভাবনাকে আরও কমিয়ে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইইউ কূটনীতিবিদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়েছিল পরিস্থিতি বোঝার জন্য। কিন্তু এক বা একাধিক সদস্য রাষ্ট্র যথেষ্ট আপত্তি জানিয়েছে। ফলে কমিশন এখনই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করার প্রয়োজনীয়তা দেখছে না।
এদিকে, ইউরোপের জন্য মার্কিন এলএনজি আরও সহজলভ্য করার প্রস্তাব দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চান ইউরোপ আরও বেশি পরিমাণে মার্কিন এলএনজি কিনুক। তবে স্বল্পমেয়াদে ইইউ কত দ্রুত মার্কিন গ্যাস পাবে সেটা অনিশ্চিত।
ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তার পূর্বসূরি বাইডেনের আরোপিত নতুন এলএনজি প্রকল্প স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। তবে বড় পরিসরের নতুন উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের আগে কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিকৃত এলএনজির ৭০ শতাংশ ইউরোপে গেছে।