ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হামলায় হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার (১৬ মার্চ) সর্বশেষ মার্কিন বিমান হামলার পর নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫৩ জন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল আসবাহি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুই নারী ও পাঁচ শিশুসহ মোট ৫৩ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৯৮ জন।
বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, সোমবার আল জাওফ ও হুদায়দাহ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
শনিবার হুথিদের উদ্দেশ্য করে দফায় দফায় বিমান হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগরে হুথিদের 'দৌরাত্ম্য' থামাতে 'সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী' এই হামলা শুরু করা হয় বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রশাসন। সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলা বন্ধ না হলে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে আহমেদ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, রাজধানী সানাতে দশ বছর ধরে আমি বসবাস করছি। যুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে বোমা ফাটার ভয়াবহ শব্দে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু ঈশ্বর সাক্ষী, এমন কিছু (বিমান হামলার ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা) আমি কোনও দিন দেখিনি।
বিমান হামলায় হুথিদের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
এদিকে, মার্কিন হুমকিকে চ্যালেঞ্জ করে হুথি নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি বলেছেন, ইয়েমেনে যতদিন মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকবে, ততদিন লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজেও তারা হানা দেবে।
তবে হুথিদের সতর্ক করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরানের সহায়তায় হুথিরা মার্কিন বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। তাদের দস্যুতা, নৃশংসতা ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে মার্কিন সেনা ও মিত্রদের প্রাণনাশের হুমকি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি ডলার অপচয় হয়েছে।
হুথিদের সরাসরি উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প লিখেছেন, তাদেরকে অবিলম্বে পিছু হটতে হবে। নইলে হুথিদের ওপর এমন নরক ভেঙে পড়বে, যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি।