চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন ফিলিপিনো নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শনিবার (৫ এপ্রিল) বিবৃতি দিয়েছে ম্যানিলা। তাদের অভিযোগ, গুপ্তচর সন্দেহে কয়েকজন চীনা নাগরিককে আটকের প্রতিশোধে সাধারণ ফিলিপিনোদের হেনস্থা করছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চীনা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে রাষ্ট্রায়ত্ব সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি জানিয়েছে, আটককৃত তিন ব্যক্তি ফিলিপাইনের গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, চীনা সেনাবাহিনীর বিষয়ে সংবেদশীল গোপন তথ্য সংগ্রহ করে দেশে পাচার করা।
ওই কর্মকর্তাদের দাবি, আটক ব্যক্তিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
তবে তাদের এই অভিযোগের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিপাইন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জোনাথান মালায়া বলেছেন, আটক ব্যক্তিরা নেহায়েত সাধারণ নাগরিক। তাদের কোনও সামরিক প্রশিক্ষণ নেই। চীনা সরকারের আমন্ত্রণে তারা সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেছেন, তারা প্রত্যেকে আইন মেনে চলা নাগরিক। তারা বিরুদ্ধে কোনও অপরাধের রেকর্ডও নেই। এমনকি চীনে পৌঁছানোর আগেই সেখানকার সরকার তাদের ওপর সমস্ত যাচাই বাছাই সম্পন্ন করেছিল।
চীনের এই কর্মকাণ্ডকে প্রতিশোধমূলক বলে মন্তব্য করেছেন মালায়া। তিনি অভিযোগ করেছেন, ফিলিপিনো গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সম্প্রতি একাধিক চীনা গুপ্তচরকে আটক করেছে। আমাদের বৈধ গ্রেফতারের প্রতিশোধ নিতে অবৈধ পন্থায় হাঁটছে বেইজিং।
গত তিন মাসে অন্তত এক ডজন চীনা নাগরিককে আটক করেছে ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ফিলিপিনো সামরিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ ও পাচারের অভিযোগ এনেছে ম্যানিলা।
ম্যানিলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসে যোগাযোগ করে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরের দখল নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে যেসব দেশের দ্বন্দ্ব রয়েছে, তাদের একটি হচ্ছে ফিলিপাইন।