X
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
২৬ বৈশাখ ১৪৩২

‘নিরাপত্তাজনিত কারণে’ মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত হলো শিশু

বিদেশ ডেস্ক
২৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:৫৩আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:৫৭
image

মাতৃদুগ্ধ মার্কিন নাগরিক জেসিকা কোয়াকলি মার্টিনেজ দুই সন্তানের জননী। ছোট সন্তানের বয়স আট মাস। সন্তানের জন্য অপরিহার্য প্রায় ১৫ লিটার মাতৃদুগ্ধ সঙ্গে নিয়ে লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানের কাছে যাচ্ছিলেন জেসিকা। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। কর্তৃপক্ষ ওই মাতৃদুগ্ধ নেওয়ার অনুমতি দেবেন না। অপরদিকে, সন্তানের জন্য তা নিয়ে যেতে মরিয়া মা। শেষ পর্যন্ত ‘নিরাপত্তাজনিত কারণ’ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ জেসিকাকে তার সঙ্গে থাকা মাতৃদুগ্ধ নষ্ট করতে বাধ্য করে, যা ছিল তার শিশুর দুই সপ্তাহের আহার।
উল্লেখ্য, উন্নত বিশ্বে কর্মজীবী মায়েরা ব্রেস্ট পাম্পের মাধ্যমে মাতৃদুগ্ধ সংগ্রহ করে একটি বিশেষ মেশিনে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। বিশেষত যারা নিজের দুগ্ধপোষ্য শিশুকে কর্মস্থলে নিয়ে যেতে পারেন না তারা এভাবে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করিয়ে থাকেন। এছাড়া মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণ কেন্দ্রেও তারা ওই মাতৃদুগ্ধ গুণাগুণের কোনও তারতম্য ছাড়াই বেশ কিছুদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন জোটের বিমান হামলায় চারমাসে নিহত মাত্র ২০ বেসামরিক ব্যক্তি!
ব্রিটেনের পরিবহন বিভাগের আইন অনুসারে, কোনও যাত্রী তরল বহন করতে চাইলে, তাকে ১০০ মিলি লিটারের স্বচ্ছ বোতলে বহন করতে হবে। তবে সঙ্গে শিশু থাকলে শিশুখাদ্য এবং মাতৃদুগ্ধ পরিবহনের ক্ষেত্রে আইন কিছুটা শিথিল। তবে জেসিকার সঙ্গের ঘটনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের যুক্তি, যেহেতু তিনি সন্তানের সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন না, তাই আইনমতে তিনি ওই মাতৃদুগ্ধ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন না।
আরও পড়ুন: আইএসের কারারক্ষী ছিলেন ব্রাসেলসের হামলাকারী!
সম্প্রতি ইউরোপে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে লন্ডনসহ ইউরোপের বিভিন্নস্থানের বিমানবন্দরে নিরাপত্তাজনিত কারণে মালামাল পরিবহনে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। তবে জেসিকা প্রশ্ন তুলেছেন, নিরাপত্তা কার স্বার্থে?
ঘটনার পর জেসিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার অনুভূতি প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি লিখেছেন যে, ওই ঘটনায় তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি, আমার রাগ প্রকাশ করেছি। কারণ একমাত্র এর মাধ্যমেই আমি এ বিষয়টিকে সামনে আনতে পারতাম।’

আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রাবি শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের খবর

জেসিকা বলেছেন, ‘কর্তৃপক্ষ আইনের কথা বলে নিরাপত্তার দোহাই দিয়েছে। নিরাপত্তা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু নিরাপত্তাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়, আর নিরাপত্তার কথা বলে মানুষজনকে শাস্তি দেওয়াটাও কোনওভাবেই উচিত নয়।’

জেসিকা বলেন, ‘একজন কর্মজীবী মায়ের পক্ষে শিশু সন্তানের জন্য মাতৃদুগ্ধ জমিয়ে রাখাটা খুবই জরুরি। অথচ আমার সন্তানের মুখ থেকে খাবার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতে একজন মা হিসেবে আমি অপমানিত ও পরাস্ত বোধ করছি।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/বিএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
শাহবাগে মধ্যরাতেও উপচেপড়া ভিড়, চলছে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিলোমিটার যানজট
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি সুস্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ায় ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ
সর্বাধিক পঠিত
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
সাবেক শিবির নেতাদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
যেভাবে বানাবেন কাঁচা আমের টক-মিষ্টি-ঝাল আমসত্ত্ব 
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে সরকারি বিদ্যালয়
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের
কলকাতায় যুদ্ধের প্রস্তুতি মমতা সরকারের