X
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
১১ আষাঢ় ১৪৩২

অভিবাসীদের তাড়াতে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাবেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৪আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৪

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর অঙ্গীকার করেছেন। টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, দেশের আইনের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাবেন। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে তাকে টাইমের ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নামকরণ করা হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সাধারণত অভ্যন্তরীণ আইন প্রয়োগে সেনাবাহিনীর ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য একটি মার্কিন আইন রয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসনকে দেশের প্রতি আক্রমণ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, আমি এটিকে আমাদের দেশের ওপর একটি আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করি। আমরা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করব এবং দেশের আইন অনুযায়ী যত দূর সম্ভব এগোব।

ট্রাম্প তার পুনর্নির্বাচনি প্রচারণায় অভিবাসীদের বিপজ্জনক অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করেছেন এবং বৈধ-অবৈধ উভয় ধরনের অভিবাসন মোকাবিলায় ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এই বিতাড়ন কার্যক্রমের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং ফেডারেল সরকারের সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছেন।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক উভয় প্রশাসনই এর আগে মেক্সিকো সীমান্তে সীমান্ত টহল সহায়তায় ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করেছে। তবে, অভিবাসীদের গ্রেফতারে তাদের ব্যবহার করা হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসনও সেনাবাহিনীকে সমর্থক ভূমিকা পালনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন আসন্ন সীমান্ত বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত টম হোম্যান।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোম্যান বলেন, আমরা পরিবহন, অবকাঠামো নির্মাণ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং লক্ষ্য নির্ধারণে প্রতিরক্ষা বিভাগকে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য চাই। তবে গ্রেফতার করবেন শপথ নেওয়া অভিবাসন কর্মকর্তারা।

ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নের দিকে মনোযোগ দেবে, যাতে তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী শিবির স্থাপনের প্রয়োজন না হয়। তিনি বলেন, আমি চাই না তারা ২০ বছর ধরে শিবিরে বসে থাকুক। আমি চাই তারা দ্রুত বেরিয়ে যাক, আর দেশগুলো তাদের ফিরিয়ে নিক।

তিনি আরও বলেন, তার চার বছরের মেয়াদে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী রয়েছে বলে ২০২২ সালের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। এই সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অভিবাসন সমর্থক আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের মতে, সব অবৈধ অভিবাসীকে অপসারণের ব্যয় এক দশকেরও বেশি সময়ে প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলার হবে।

ট্রাম্প ২০১৭-২০২১ সালে তার প্রথম মেয়াদে এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে সফল হতে পারেননি। তুলনামূলকভাবে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ২০২৩ সালে ট্রাম্পের যেকোনও বছরের চেয়ে বেশি অভিবাসী বিতাড়ন করেছে।

টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি আমাদের দেশে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

/এএ/
সম্পর্কিত
ইউক্রেনে এবার দিনের বেলা রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো ইরান
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র: গোয়েন্দা প্রতিবেদন
সর্বশেষ খবর
সাবেক এমপি বেনজীরের ফ্ল্যাট-প্লটসহ জমি জব্দ
সাবেক এমপি বেনজীরের ফ্ল্যাট-প্লটসহ জমি জব্দ
আগস্টে ন্যু ক্যাম্পে ফিরছে বার্সেলোনা
আগস্টে ন্যু ক্যাম্পে ফিরছে বার্সেলোনা
জর্জ অরওয়েলের শৈশব
জর্জ অরওয়েলের শৈশব
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক তিন এমপি’কে
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক তিন এমপি’কে
সর্বাধিক পঠিত
রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
রাইস কুকারে রান্না করতে গিয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
ক্রুদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা জারি বিমানের
ক্রুদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা জারি বিমানের
নির্বাচনি সমঝোতার পথে পাঁচ ধর্মভিত্তিক দল
নির্বাচনি সমঝোতার পথে পাঁচ ধর্মভিত্তিক দল
বদলির আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরে প্রতিবাদ
বদলির আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরে প্রতিবাদ
মেধাবীদের টানতে যুক্তরাজ্যের বিশেষ প্রকল্প, বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনা
মেধাবীদের টানতে যুক্তরাজ্যের বিশেষ প্রকল্প, বাংলাদেশিদের জন্য সম্ভাবনা