X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

লকডাউন ছাড়াই দ. কোরিয়ার করোনা সাফল্যের নেপথ্যে

বিদেশ ডেস্ক
২৭ মার্চ ২০২০, ১৫:০২আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৬:০৯

কোনও শহর লকডাউন করা হয়নি, বন্ধ হয়নি পরিবহন ও আন্তর্জাতিক প্রবেশ ছিল উন্মুক্ত। এরপরও দক্ষিণ কোরিয়া যে শুধু করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পেরেছে সফলভাবে তা নয়, দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৯ হাজার ১৩৭ জনের মধ্যে ৪১ শতাংশকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলেছে। আর বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা মাত্র ১৩১ জন।

লকডাউন ছাড়াই দ. কোরিয়ার করোনা সাফল্যের নেপথ্যে
বুধবার জাতিসংঘের দুর্যোগ প্রশমণ কার্যালয়ের (ইউএনডিআরআর) উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশেষ ওয়েবিনারে মিয়ংজি হাসপাতালের সিইও ও কোরিয়ান হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ড. লি ওয়াং-জুন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া ৩ হাজার ৭৩০ জন করোনা আক্রান্তকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছে। তারা সম্পুর্ণ সুস্থ। এই অনলাইন সেমিনারটিতে ১০৫টি দেশের ৯০০ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা জানতেই তাদের অংশগ্রহণ।
ড. লি ভাইরাসের বিস্তার রোধে দক্ষিণ কোরিয়ার কৌশলের চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি তুলে ধরেন। ইউএনডিআরআর'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম নীতি হলো কোরিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের মাধ্যমে নতুন আক্রান্তের তথ্য হালনাগাদ করতে সম্পূর্ণ উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতা। মিডিয়াসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কোথায়, কখন এবং কীভাবে সংক্রমণ শনাক্ত এবং তা যাচাই করা হলো তা তুলে ধরা হয়েছে।

লকডাউন ছাড়াই দ. কোরিয়ার করোনা সাফল্যের নেপথ্যে
২০১৫ সালের মার্স সংক্রমণ থেকে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হয়েছে। এর ফলে জনগণের মধ্যে আক্রান্তের বিষয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। এছাড়া মহামারির সময় ভাইরাসের বিস্তার রোধে করণীয় সম্পর্কেও তারা অবহিত ছিলেন। ড. লি বলেন, কোনও শহর লকডাউন ছিল না, কোনও পরিবহন বন্ধ হয়নি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রীদের দেশে প্রবেশ এখনও উন্মুক্ত আছে।
দ্বিতীয় নীতি হলো সংবরণ ও প্রশমন। আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহভাজন ও নিশ্চিত আক্রান্তদের শনাক্ত করা। প্রশমনের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত ছিল সামাজিক দূরত্ব প্রচারণার। যা ফেব্রুয়ারির শেষ দিকেই দায়েগু এলাকায় বড় ধরনের সংক্রমণের পরই শুরু করা হয়েছিল।
দায়েগুর লোক সংখ্যা ২৫ লাখ। একদিনে এখানে ৭৩৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়। বিপরীতে সিউলে লোকসংখ্যা আড়াই কোটি এবং সেখানে একদিনে ৭৫ জন আক্রান্ত হন। দক্ষিণ কোরিয়া দায়েগুতে কোভিড-১৯-এর সামাজিক সংক্রমণ রোধ করতে পেরেছে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে। যদিও এলাকাটিতে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং বড় ধরনের জমায়েতে স্বেচ্ছা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু কোনও লকডাউন ছিল না।
ড. লি বলেন, চতুর্থ নীতি হলো গণহারে পরীক্ষা এবং দ্রুত সন্দেহভাজন আক্রান্তদের চিহ্নিত করা। পরীক্ষার সরঞ্জাম মজুত ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা হয় যাতে সপ্তাহে চার লাখ ৩০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা সম্ভব হয়। সূত্র: টাইমস অব  ইন্ডিয়া

/এএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চীনের হাসপাতালে চালু হলো ব্রেইন-কম্পিউটার ইন্টারফেস ওয়ার্ড
চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ওয়াশিংটনে কোয়াড বৈঠক, প্রশ্নের মুখে ঐক্য
তেলেঙ্গানায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩৬
সর্বশেষ খবর
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে নিহত ৪, নিখোঁজ ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরি ডুবে নিহত ৪, নিখোঁজ ৩০
প্রবাসীদের সুবিধা দিয়ে ব্যাগেজ রুলস সংশোধন করলো এনবিআর
প্রবাসীদের সুবিধা দিয়ে ব্যাগেজ রুলস সংশোধন করলো এনবিআর
ধানমন্ডিতে  ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত
ধানমন্ডিতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত
চোরের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
চোরের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহত
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল