পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে প্রথমবারের মতো একজন নারী বিচারপতিকে মনোনীত করেছে দেশটির আইন কমিশন। ৫৫ বছর বয়সী বিচারপতি আয়েশা মালিককে মনোনীত করেছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। এখন তার নাম চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সংসদীয় প্যানেলে পাঠানো হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের আইনজীবী ও সিভিল সোসাইটির অ্যাক্টিভিস্টরা লিঙ্গ বৈষম্যের লড়াইয়ে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তবে সিদ্ধান্তটি বিরোধিতার মুখেও পড়েছে। আইনজীবীদের একটি গ্রুপ হুমকি দিয়েছেন, মালিক সুপ্রিম কোর্টে বিচারক হিসেবে যোগ দিলে তারা ধর্মঘট করবেন।
গত বছর ৯ সদস্যদের আইন কমিশন তার আয়েশা মালিকের সুপ্রিম কোর্টের মনোনয়ন বাতিল করেছিল। কিন্তু এবার বিচারকদের ৫-৪ ভোট তার পক্ষে গেছে।
কয়েকজন আইনজীবী ও বিচারক বলছেন, আয়েশা মালিককে মনোনীত করায় সিনিয়রিটির বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। লাহোর হাইকোর্টের সিনিয়র তিন বিচারপতির মধ্যে তিনি ছিলেন না। ২০১২ সাল থেকে এই আদালতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন আয়েশা মালিক। গত বছর তিনি ধর্ষণের শিকার নারীদের কুমারিত্ব পরীক্ষা করাকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন।