বিক্ষোভকারীরা সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ার আগ মুহূর্তে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার পর তার পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে আসছেন। শনিবার সেই বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড অগ্রাহ্য করে তার বাসভবন ও কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে।
রাজপাকসে নিরাপদে বাসভবন থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর একটি জাহাজে কয়েকটি স্যুটকেস তোলা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে, এগুলো গোটাবায়ার স্যুটকেস।
গোটাবায়ার আকস্মিক চলে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে তিনি কি ক্ষমতায় থাকবেন, নাকি পদত্যাগ করবেন। কী ঘটবে সংকট কবলিত দ্বীপ দেশটিতে।
কী আছে লঙ্কান সংবিধানে?
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারে, যদি মেয়াদপূর্তির আগেই প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হয়ে যায় তাহলে পার্লামেন্টের সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা হবে। মেয়াদের বাকি সময়টুকু তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
কত দ্রুত এই প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে?
সংবিধান অনুসারে, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের একমাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
কোন প্রক্রিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন?
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের তিনদিনের মধ্যে পার্লামেন্টের অধিবেশন আয়োজন করতে হবে। অধিবেশনে পার্লামেন্টের মহাসচিব পার্লামেন্টকে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করবেন। যদি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলে গোপন ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত ব্যক্তিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কী ঘটবে?
প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের পর অন্তবর্তীকালীন সময় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। তিনি একমাসের কম সময় দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এর আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন হলে মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন-