শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের ভাই ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসেকে বিমান যোগে দেশ ত্যাগের অনুমতি দেননি অভিবাসন কর্মকর্তারা। দুই দশকের সময় ধরে লঙ্কান রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারকারী রাজাপাকসে পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকা অবস্থায় কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপ নিলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বাসিল কোথায় যেতে চাইছিলেন। তার মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে। এপ্রিল মাসের শুরুতে জ্বালানি, খাদ্য ও নিত্যপণ্যের ঘাটতির কারণে বিক্ষোভের মুখে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে জুনে তিনি পার্লামেন্টের সদস্য থেকেও পদত্যাগ করেন।
শনিবার হাজারো বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে। তারা তার পদত্যাগ দাবি করে আসছিল। শুক্রবার থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি এবং তিনি কোথায় অবস্থান করছে তা জানা যায়নি। তবে তার কার্যালয় জানিয়েছে, তিনি বুধবার পদত্যাগ করবেন যাতে করে ঐক্য সরকার গঠন করা যায়।
শ্রীলঙ্কার অভিবাসন কর্মকর্তাদের সংস্থা দাবি করেছে, কলম্বো বিমানবন্দরে ভিআইপি বহির্গমন লাউঞ্জে তাদের সদস্যরা বাসিল রাজাপাকসেকে সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান কে.এ.এস কানুগালা বলেন, শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ করতে না দিতে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন অভিবাসন কর্মকর্তা। আমরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভিআইপি লাউঞ্জে কর্মরতরা তাদের সেবাপ্রদান বন্ধ রাখবে।
বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বাসিলের ছবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়েছে। তার দেশ ত্যাগের চেষ্টায় অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে বাসিল রাজাপাকসের মন্তব্য পাওয়া যায়নি এবং তার এক ঘনিষ্ঠ মিত্র বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষমতাসীন দলের এক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, বাসিল রাজাপাকসে এখনও দেশে রয়েছেন।