পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার (কেপি) বাজাউর জেলায় একটি সম্মেলনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। খার তহসিল এলাকায় জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) এর সম্মেলনে রবিবার বিস্ফোরণটি হয়। কেপির তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী ফিরোজ শাহ জামাল জিও নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিহতের সংখ্যা ও আহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
বাজাউর জেলা জরুরি কর্মকর্তা সাদ খান বলেন, ‘খারের জেইউআই-এফ নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও বিস্ফোরণে মারা গেছেন। আহত ব্যক্তিদের পেশোয়ার এবং টাইমারেরার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডন ডটকমের প্রতিবেদক জানান, বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে একজন স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছেন।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পৌঁছাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘেরাও করে ফেলে।
ঘটনার পর জিও নিউজকে জেইউআই-এফ নেতা হাফিজ হামদুল্লাহ বলেন, ‘আজ (রবিবার) আমার সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রতিশ্রুতি রাখতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে ১০-১২ জন কর্মী শহীদ হয়েছেন। এক ডজনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আজকের ঘটনাটি মানবতা এবং বাজাউরের ওপর আক্রমণ ছিল।’
ঘটনার তদন্ত দাবি করে হামদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কর্মীদের টার্গেট করার আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা পার্লামেন্টে এ নিয়ে আওয়াজ তুলেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
হামদুল্লাহ শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য প্রাদেশিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জামায়াত-ই-ইসলামি সিনেটর মুশতাক আহমেদও বিস্ফোরণের নিন্দা করেছেন। নিহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন তিনি।
টুইটে তিনি বলেন, ‘ফেডারেল এবং প্রাদেশিক সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা এবং বেসামরিক প্রশাসন জনগণকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
সূত্র: দ্য ডন