চীনের প্রকাশিত সর্বশেষ মানচিত্র প্রত্যাখান করেছে মালয়েশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) চীনের অযৌক্তিক দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে দেশটি। এ মানচিত্রে মালয়েশিয়ার বোর্নিওর উপকূলবর্তী এলাকাসহ বিরোধপূর্ণ প্রায় সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজের বলে দাবি করেছে চীন। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই জলসীমায় উত্তেজনা দিনদিন বাড়ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মালয়েশিয়া দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের মালিকানার দাবিকে স্বীকৃতি দিবে না। মানচিত্রের ২০২৩ সালের সংস্করণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সামুদ্রিক এলাকা নিজের বলে দাবি করেছে চীন। মালয়েশিয়ার ওপর এই মানচিত্রের কোনও প্রভাব পড়বে না।
মালয়েশিয়া উল্লেখ করেছে, চীন নতুন মানচিত্রে একতরফা সামুদ্রিক দাবি করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে চীন। উপকূলরক্ষী ও নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। যা মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দাবিদারদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি করছে। ভিয়েতনাম, ব্রুনাই ও তাইওয়ানেরও এই সমুদ্রসীমায় মালিকানার দাবি রয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর যুক্তিযুক্ত এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখা উচিত।
বস্তুনিষ্ঠ ও শান্ত থাকতে হবে। বিষয়টির অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই।
মালয়েশিয়া বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌমত্বের ইস্যুটি ‘জটিল ও সংবেদনশীল’। এটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন অনুযায়ী আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করা দরকার।
মালয়েশিয়ার পাশাপাশি ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানও চীনের প্রকাশিত একটি মানচিত্রকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।