সহিংসতায় বিপর্যস্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আরও প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদীর কাছে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের কার্যকর সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক। শুক্রবার (২৪ মে) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল এসব কথা জানান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
সাংবাদিকদের এলিজাবেথ থ্রোসেল জানান,আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ভলকার তুর্ক।
তিনি আরও বলেন, রাখাইনের বুথিদং ও মংদু শহরে সংঘাতের কারণে গত কয়েকদিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত নভেম্বর থেকে রাখাইনে সংঘাত চলছে। এএ বলছে, তারা রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ছে৷
সম্প্রতি এই দুটি শহরে আরাকান আর্মি (এএ) ও সেনাবাহিনীর লড়াইয়ে অন্তত ১০ হাজার নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসব এলাকায় অন্তত ৬ লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বসবাস করে বলে উল্লেখ করেছেন এলিজাবেথ।
এলিজাবেথ থ্রোসেল বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের সময় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয় তারা।
কক্সবাজার থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার তানভীর চৌধুরি বলেছেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভার নিয়েই যে দেশ হিমশিম খাচ্ছে, সেই দেশ আরও রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে কোনও ভাবেই রাজি নয়।