সংবেদনশীল তাইওয়ান প্রণালিতে চীনা সাবমেরিন দেখা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তাইওয়ানের জেলেদের অনলাইনে প্রকাশিত ছবিতে একটি চীনা পারমাণবিক সাবমেরিনের ভাসমান চিত্র দেখা গেছে। এরপরই জাহাজটির ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে দেশটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
চীন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নকারী সংকীর্ণ এই প্রণালি ঘিরে ঘন ঘন উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে প্রতিদিন নিয়ম করে চীন যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান। কেননা, স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সার্বভৌমত্বের দাবি করে থাকে বেইজিং। তবে চীনের এমন দাবি অস্বীকার করে তাইওয়ান।
তাইওয়ানের মিডিয়া ভাসমান এই সাবমেরিনের ছবি প্রকাশ করেছে। এটিকে একটি পারমাণবিক সশস্ত্র জিন ক্লাস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে প্রণালিতে মাছ ধরার সময় একটি নৌকা তাইওয়ানের পশ্চিম উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দূরের এই সাবমেরিনটির ছবি তুলেছিল।
সাবমেরিনটির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েলিংটন কু বলেছেন, তারা গোয়েন্দা পরিস্থিতিটি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে কীভাবে তারা এটি পর্যবেক্ষণ করছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও সাড়া পায়নি রয়টার্স।
পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো একসময়ে টানা কয়েক মাস ধরে পানির নিচে কাজ করতে পারে। ‘ব্যালিস্টিক-মিসাইল বোট সিক্রেটিভ মিশন’-এর অর্থ হলো, সেগুলো খুব কমই সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে আসে।
পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, সাবমেরিনটি খুব সম্ভবত দক্ষিণ চীন সাগর থেকে কিংদাওতে সেটির বন্দরে ফিরে আসছে। সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি আরও বলেছে, মঙ্গলবার সাবমেরিনটি ভেসে ওঠার কারণ হতে পারে এটিতে ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, যাতে এটি ভেসে উঠতে বাধ্য হয়েছিল।
ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিনগুলো জাহাজে আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। তবে এটি স্থলে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম।