পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের বিমান হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চললেও এটি কোনও নতুন ঘটনা নয়। অতীতেও ভারতের পক্ষ থেকে একাধিকবার সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরি সেনা ঘাঁটিতে ১৯ ভারতীয় সেনার প্রাণহানির পর ভারত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ানের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বালাকোট এলাকায় বিমান হামলা চালায় ভারত।
এর আগেও, ২০০১ সালে দিল্লিতে ভারতের সংসদে বন্দুকধারীদের হামলার জবাবে ‘অপারেশন পরাক্রম’ চালু করে দেশটি। ওই সময় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রায় ১০ মাসব্যাপী সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করেছিল।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারকার অভিযান ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সবচেয়ে বিস্তৃত এবং তা এমন এক সময়ে সংঘটিত হয়েছে, যখন উভয় দেশের কাছেই পরমাণু অস্ত্র রয়েছে— যা পরিস্থিতিকে আরও সংবেদনশীল করে তুলেছে।
ভারত যদিও বলছে, তারা কেবল ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে, তবে পাকিস্তান পাল্টা দাবি করেছে, এসব হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও উপাসনালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ তার পূর্ববর্তী সংযমপূর্ণ প্রতিরক্ষা নীতির স্পষ্ট বিচ্যুতি। অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা নীতিতে এক নতুন মোড়—যেখানে সীমান্ত নয়, সন্ত্রাসের উৎপত্তিস্থলই মূল লক্ষ্য।
সূত্র: আল জাজিরা