পাকিস্তানে ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর ও সিয়ালকোট বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (পিএএ) জানিয়েছে, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এসব বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
পিএএর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অপারেশনাল কারণ’ দেখিয়ে লাহোর ও সিয়ালকোট এয়ারপোর্ট বেলা ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করাচি ও ইসলামাবাদ এয়ারপোর্টেও ফ্লাইট চলাচল বেলা ১২টা পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে যাত্রীদের তাদের সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ।
ভারতের বাহিনীর পাকিস্তানি আকাশসীমা লঙ্ঘনের হুমকি বাড়ার প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন একদিন আগেই ভারত গত মাসের পেহেলগাম হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায়।
বুধবারের ওই বিমান হামলার পর পাকিস্তান কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। তবে দেশটির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা পরে জানায়, পাকিস্তানের আকাশসীমা উন্মুক্ত এবং বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য নিরাপদ রয়েছে।
পাকিস্তানে ভারতের হামলার পর মূলত এশীয় এয়ারলাইন বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল ও পথ পরিবর্তন করা করার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে পরমাণু অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে।
হামলার পর ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটের ছবিতে দেখা গেছে, অনেক এয়ারলাইনের রুট ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং কুয়েতের ওপর দিয়ে গেছে, যা আকাশসীমা জটের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারতের হামলার সময় পাকিস্তানের আকাশসীমায় ৫৭টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ ‘উপসাগরীয় দেশগুলোর বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোর জন্য গুরুতর ঝুঁকি, এমনকি জীবনের জন্যও হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’