সুদান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার অভিযান ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শেষ ফ্লাইটটি শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় রাজধানী খার্তুম থেকে ছেড়ে যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মিচেল বলেন, ‘এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আমরা সেখানে আজীবন থাকতে পারি না’।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সুদানে হওয়া ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। সেদিন সকাল থেকেই সশস্ত্র দলগুলো খার্তুম লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে। বোমারু বিমান এবং ভারী কামান আঘাত হেনেছে খার্তুমের কিছু এলাকায়। সুদানি সেনাবাহিনী দাবি করছে, আধাসামরিক বাহিনীকে হটাতে চারপাশ থেকে শহরে আক্রমণ চালাচ্ছে তারা।
দুই সপ্তাহ আগে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সরকারি হিসাবে, সংঘাতে এ পর্যন্ত অন্তত ৪৫৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। জাতিসংঘের আশঙ্কা, সংঘর্ষ এভাবে চলতে থাকলে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এদিকে সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চলমান সংঘাত সিরিয়া ও লিবিয়ার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।
উদ্ভুত পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। অনেকে আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নৌকা বা বাসে করে প্রতিবেশী দেশে পালাচ্ছে।
মার্কিন সরকার শনিবার সন্ধ্যায় জানায়, তারা তাদের নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে। মার্কিন নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের আগেই পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে নৌকায় করে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, ২১টি ফ্লাইটে এক হাজার ৮৮৮ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুদান থেকে তারা আর উদ্ধার ফ্লাইট চালাবে না।
নাইরোবিতে বিবিসির সঙ্গে কথা বলার সময় মিচেল বলেন, ‘এটা ঠিক যে উদ্ধার ফ্লাইট শেষ হচ্ছে। আমি মনে করি না যে খার্তুমে এমন একজনও ব্রিটিশ আছেন যিনি এসব ফ্লাইটের কথা জানেন না। এই ভয়ানক সংকটে আটকে পড়া ব্রিটিশ নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য প্রতিটি বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছে সরকার’।
সূত্র: বিবিসি