কসোভোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সীমান্তে সার্বিয়ার সেনা মোতায়েনের ঘটনা ইউক্রেনে আক্রমণের আগে রাশিয়ার আচরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সার্বিয়ার প্রার্থী সদস্যপদ স্থগিত করে বেলগ্রেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে কসোভো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র হুমকি দিয়ে বলেছিল কসোভো সীমান্তে সার্বিয়া সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর ওপর নজর রাখছে। ন্যাটো বলেছিল, কসোভোতে অতিরিক্ত শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুমতি দিতে যাচ্ছে।
সোমবার এক সাক্ষাৎকারে কসোভোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনিকা গারবাল্লা-স্কোয়ার্জ বলেছেন, গত কয়েক বছরে এমন সেনা উপস্থিতি দেখা যায়নি। যেসব অস্ত্র তারা মোতায়েন করেছে সেগুলোর মধ্যে ট্যাংক রয়েছে। এগুলো আমাদের খারাপ অনুভূতির জন্ম দিচ্ছে। কারণ আমরা জানি না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে।
তিনি আরও বলেছেন, শুধু সেনা উপস্থিতি নয়, সার্বিয়া বাগাড়ম্বর ও পদ্ধতি ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আচরণের মতো। তাই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া অনেক জরুরি।
গত সপ্তাহে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিক বলেছিলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে কসোভোতে সেনাদের প্রবেশের আদেশ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তার নেই। কারণ সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে বেলগ্রেদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান বাধাগ্রস্ত হবে।
দশ দিন আগে কসোভোর দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি গ্রামে পুলিশ ও জাতিগত সার্বদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কসোভোর অভিযোগ, সার্ব যোদ্ধাদের অস্ত্র ও সহযোগিতা দিচ্ছে সার্বিয়া।
উল্লেখ্য, কসোভোর আলবেনীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সার্ব বাহিনীর যুদ্ধ ১৯৯৮ সালে শুরু হয়ে শেষ ১৯৯৯ সালে। ওই যুদ্ধে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায় ন্যাটো। এতে কসোভো থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় দেশটি। ২০০৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বিয়া থেকে পৃথক হয় কসোভো। তবে কসোভোর স্বাধীনতার ঘোষণাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে আসছে সার্বিয়া।।