ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের পর বিবস্ত্র অবস্থায় ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল দেশটি। সমালোচনার ঝড় বিভিন্ন মহলে। একইদিন ওই রাজ্যে আরও দুই আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, নগ্ন অবস্থায় দুই নারী গ্রামে হাঁটছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে একদল পুরুষ। যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটেছিল দুই মাস আগে। এমন ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। মণিপুরে নারীরা আদিবাসী নারীদের ওপর যৌন হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দিয়েছে। শুক্রবার রাজ্য পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় কয়েকজন আটকও হয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে যে দুই আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের একজনের ২১ অন্যজনের ২৪ বছর। আগের ঘটনার স্থানের চেয়ে কাছাকাছি। মণিপুরে সে সময়ে স্থানীয় কুকি ও মাইতি সম্প্রদায়ের সহিংসতা চলছিল। কয়েকজন জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে দুই বোনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা করে।
এ ঘটনায় তাদের বাবা থানায় প্রাথমিক অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে কিছু তথ্য হাতে এসেছে দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত কয়েক মাস ধরে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতায় ১২০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে ত্রাণশিবিরে বসবাস করছে। পুরো ঘটনায় প্রথমে মোদি নিরব থাকলেও অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে (২৪ জুলাই) সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাদল অধিবেশন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল পরিষদীয় দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সংকেত পেলেই তারা নিন্দাপ্রস্তাব আনার বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করবেন। ইতোমধ্যে মণিপুরের মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মমতা।