মশাবাহিত প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবে ধুঁকছে আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির সরকার। এই জ্বরে আক্রান্ত আরও ৬০ হাজার মানুষ।
নতুন করে সংক্রমণটি এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ছড়িয়েছে। ২০২০ সালে আর্জেন্টিনায় বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের পর এটিই প্রথম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গুর সংক্রমণ গত কয়েকদিন বাড়ার পর এখন কিছুটা স্থিতিশীল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জীববিজ্ঞানী মারিয়ানেলা গার্সিয়া আলবা বলেন, আমাদের দেশে ও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মশাটি আরও ছড়াতে পারে। আরও দক্ষিণে চলে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী সালতা, তুকুমান এবং জুজুয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে।
মশার উপদ্রোপ থেকে রক্ষায় জনসাধারণকে মশাবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দরজা ও জানালায় মশারির জাল দেওয়া এবং পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোথাও পানি জমতে না দেওয়ার বিষয়েও অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গু রোগটি ভাইরাসজনিত। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ জ্বর। ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। সূত্র: বিবিসি